ফের কলকাতায় ভাঙল পুরনো দিনের বাড়ির একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্র সরণিতে। চারতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আহত হয়েছেন তিনজন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্র সরণি এলাকায় যে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেই বাড়িটি কলকাতা পুরসভার বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায় ছিল। বাড়িটির দোতলার একটি বারান্দা ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে বাড়ির ভিত। দেওয়াল ধসে গিয়েই ভেঙে পড়েছে বাড়ির অংশটি। দুর্গাপুজোয় যখন শহর কলকাতা আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে, তখন বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছেজানা গিয়েছে, বাড়ি ভেঙে পাঁচজন ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছিলেন। পাঁজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের মধ্যে মহম্মদ তৌফিক নামে এক ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, মহম্মদ তৌফিকের বাড়ি গোড়াচাঁদ লেনে। বাইক চালিয়ে যখন তিনি যাচ্ছিলেন, তখন বারান্দার একাংশ তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে। তখনই গুরুতর জখম তৌফিক।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আহিরীটোলা লেনে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয়েছিল এক শিশুকন্যা-সহ দু'জনের। এরপর ঠিক তার পরদিনই উত্তর কলকাতায় দুটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। পোস্তা থানা এলাকায় ১০৫ নম্বর কটন স্ট্রিটের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ওই একইদিনে জোড়াবাগান স্ট্রিটে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। তবে সেযাত্রায় অবশ্য কোনও হতাহতের খবর হয়নি।