তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে নোটিশ পুলিশের, দুই শাগরেদ গ্রেফতার, প্রোমোটারকে মারধরের জের

বাগুইআটিতে প্রোমোটার কিশোর হালদারকে মারধর করার ঘটনায় অধরা তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। আজ, মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে নোটিশ পাঠাল বাগুইআটি থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। দুই ধৃতের নাম রমেন মণ্ডল এবং শুভেন্দু মণ্ডল। সোমবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হলে তিনদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বারবার তাঁর বাড়িতে গেলেও খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে আজ কাউন্সিলের বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ সেঁটে দিল বাগুইআটি থানার পুলিশ।এদিকে এখনও অধরা তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। মারধর করার ঘটনা নিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী এবং তাঁর দলবলের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রবিবার বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহত প্রোমোটার কিশোর হালদার। প্রোমোটার কিশোর হালদারের উপর হামলা, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর উত্তর দেশবন্ধু নগরের বাড়িতে বারবার গেলেও তাঁকে পায়নি পুলিশ। অবশেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগুইআটি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বাগুইআটি থানায় দেখার করার কথা ওই নোটিশে বলা হয়েছে।আরও পড়ুন: তারাপীঠ মন্দির কমিটির বৈঠকে পাল্টে গেল নিয়ম, ভক্তদের কী মানতে হবে? জেনে নিনঅন্যদিকে ওই প্রোমোটারকে মারধর করার মামলায় কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে। তবে এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ধৃত দু’জন রমেন মণ্ডল এবং শুভেন্দু মণ্ডল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর শাগরেদ বলেই পরিচিত। বাগুইআটির প্রোমোটারকে মারধর করার ঘটনার পর রাজারহাট–গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা গোবিন্দ দাসের বাড়ি এবং অফিস বন্ধ। রবিবার এক প্রোমোটারের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা তোলা দাবি করার অভিযোগ ওঠে। তবে তোলার টাকা না পেয়ে ওই প্রোমোটারকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করা হয় বলে দেওয়ার অভিযোগ।এছাড়া এই মারপিঠের ঘটনায় বাবাই, গোবিন্দ দাস, শুভেন্দু, রমেন–সহ একাধিক জনের উঠে এসেছে। যা হাতে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কাউন্সিলর ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন প্রোমোটারের কাছে। কিশোরবাবুর বাড়িতে গিয়ে কাউন্সিলর জোরজুলুম করেছেন বলেও অভিযোগ। তখন তাঁর অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই গা–ঢাকা দেয় কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী।