অনলাইনে শাড়ি পাঠানোর নামে প্রতারণা, ধৃত বিদেশি সহ ৫

বর্তমানে বাড়ছে অনলাইনে প্রতারণা। সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলতে বিভিন্ন রকম উপায় অবলম্বন করছে প্রতারকরা। আর সাধারণ মানুষও তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে খুইয়ে বসেছেন বহু টাকা। এই প্রতারণাচক্রে জড়িয়ে পড়ছে বিদেশিরাও। সম্প্রতি বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ একটি প্রতারণার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে দুজন বিদেশি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে এই সমস্ত প্রতারকরা অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজারহাটে কালিপার্কের বাসিন্দা শালিনী রায়। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে থেরেসা দেব অঙ্গি নামে এক মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল । ক্রমেই পার্সোনাল চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বে পরিণত হয়। ওই মহিলা শালিনীকে জানান, তিনি ভারতীয় শাড়ী পছন্দ করেন। সেই সূত্রেই ওই মহিলা শালিনীকে ভারতীয় শাড়ীর কিছু নমুনা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাঠাতে বলেন । মেইমতো তিনি বেশকিছু শাড়ির নমুনা পাঠিয়েও ছিলেন। শালিনীর বক্তব্য তাতে খুশি হয়ে থেরেসা তাকে জানায়, সে প্রচুর পরিমাণে শাড়ি অর্ডার করতে চায়। শালিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করার জন্য ওই মহিলা তাকে একটি উপহার দেওয়ার কথা জানান । শালিনী অবশ্য এরকম উপহার দেওয়ার কথাতে খুশিও হয়েছিলেন। উপহারের ট্রাকিং আইডিও ওই মহিলা শালিনীকে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু, এরপরেই ঘটে বিপত্তি।অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে নিজেকে কাস্টম অফিসার পরিচয় দিয়ে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স বাবদ ২৭৫০০ টাকা চান অনিতা নামে এক মহিলা। সেইমতো তিনি টাকাও দিয়ে দেন। এরপরে একটি মেইলও পাঠানো হয় শালিনীকে। অভিযোগ, তার পরেও আবার কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের জন্য টাকা চায় অনিতা। এরপর পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে সেই ঘটনায় পাঁচজনকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ শনিবার তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।