বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল অনেকে। সেরকমই হাসিনার দল আওয়ামী লিগের বেশ কয়েকজন সদস্য ভারতে অনুপ্রবেশ করে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নিউটাউনে হানা দিয়ে আওয়ামীর ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করল মেঘালয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, অনুপ্রবেশ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতেরা প্রত্যেকে বাংলাদেশের সিলেট জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ‘আওয়ামি লিগকে পুর্নবাসনের জন্য দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে’, নুরুল হকের বড় দাবি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চারজনের নাম হল নাসিরউদ্দিন খান, তিনি সিলেটে জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক। সিলেট মহানগর যুবলিগের সভাপতি আলম খান মুফতি, আওয়ামী লিগের সক্রিয় সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল এবং সিলেট মহানগর যুবলিগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। সেই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে মেঘালয় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ, ছিনতাই জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত এবং মারধরের মতো গুরুতর অভিযোগ। গ্রেফতারের পর রবিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হয়। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তবে আদালত ছুটি থাকায় শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। কেউ কেউ শিলংয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে থাকার সময় এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও দুজন পলাতক রয়েছে। পলাতক অভিযুক্তদের নাম- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লিগের সভাপতি আফসার আজিজ ও সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লিগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।
নাসিরউদ্দিন খান ও অন্যরা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে শিলং বাজারের কাছে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তবে শিলংয়ে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তারা ১ ডিসেম্বর কলকাতায় পালিয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে সুনামগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের এক কর্তাকেও আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও গুয়াহাটিতে থাকা বাংলাদেশের সরকারি হাই কমিশন জানিয়েছে এখনও মেঘালয় পুলিশের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।