শনিবার বালুরঘাটে তৃণমূলপন্থী মতুয়াদের সংগঠনের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাসসহ বিজেপিতে যোগদান করলেন প্রায় সমস্ত জেলার সভাপতিরা। সুকান্তবাবুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল তৃণমূলের মতুয়া সংগঠন। শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামী মতুয়া সংগঠনের নেতারা। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের কাছে যা এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার বালুরঘাটে তৃণমূলপন্থী মতুয়াদের সংগঠনের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাসসহ বিজেপিতে যোগদান করলেন প্রায় সমস্ত জেলার সভাপতিরা। সুকান্তবাবুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। এর পর প্রশান্তবাবু বলেন, CAA কার্যকর হওয়ায় মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। মোদীজির নেতৃত্বেই এটা সম্ভব হয়েছে। তাই আমরা তৃণমূলের সংগঠন ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দিনে আমাদের হাত ধরে সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও বিজেপিতে যোগদান করবেন।
সুকান্তবাবু বলেন, উত্তরবঙ্গে মতুয়াদের মমতাবালা ঠাকুর গোষ্ঠী আজ বিজেপিতে যোগদান করেছে। তারে CAA নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোভাব দেখেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এখানে ২০ জন বিজেপিতে যোগদান করলেন। বাকিরা এদের মাধ্যমে যোগদান করলেন। এই যোগদানের ফলে উত্তরবঙ্গে মতুয়াদের আর কোনও শক্তি বিজেপির বাইরে থাকল না।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ভগীরথ দাস বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলার কয়েকজন করে নেতারা আজ বিজেপিতে যোগদান করলাম। আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে অন্তত ২০ হাজার নেতা কর্মী রয়েছেন। আমাদের নাগরিকত্বের দাবি মোদী সরকার পূরণ করেছে। আমাদের আর কেউ উদ্বাস্তু বা অনুপ্রবেশকারী বলতে পারবে না। আর যে সরকার শাহজাহানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তারা যে আমাদের সরকার না এব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।’