দলেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনল তৃণমূল। কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান রীতা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন ১৩ জন কাউন্সিলর। পালটা পুরপ্রধানের দাবি, ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ না হওয়ায় বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনাস্থা এনেছেন দলেরই কয়েকজন।রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো কৃষ্ণনগরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরসভার সামনে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এবার সরাসরি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই কাউন্সিলররা।কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান রীতা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলরসহ ১৩ জন কাউন্সিলর। ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডেকে শক্তি পরীক্ষা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই কৃষ্ণনগরে পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ২৫ আসনের কৃষ্ণনগর পুরসভায় বর্তমানে ২৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আস্থা ভোট হলে সেখানে পুরপ্রধানের পরাজয় আসন্ন।বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের দাবি, পুরপ্রধান দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি স্বেচ্ছারিতা করেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কাউন্সিলরদের মতামত শোনেন না বা পরামর্শ নেন না। পালটা রীতাদেবী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা। ওদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় অনাস্থা এনেছে। ওদের মধ্যে কংগ্রেসি কাউন্সিলর, নির্দল কাউন্সিলরও রয়েছেন। যে নির্দল কাউন্সিলর কয়েকদিন আসে রেখা পাত্রর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন।’স্থানীয়দের দাবি, কৃষ্ণনগরে পুরভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। জোর করে ক্ষমতা দখল করে প্রাচীন এই শহরের বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার বদলে নিজেদের মধ্যে কোন্দলে ব্যস্ত তৃণমূল কাউন্সিলররা। যার প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে।