থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। আসলে ব্যাঙ্কের পাসবুক হারিয়ে গিয়েছিল। সেকারণে নিয়ম মেনে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। আর সেই থানার ভেতর তাঁকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। তিনি ডক্টর ইমন কল্যাণ। তিনি খড়্গপুর ও ভুবনেশ্বর আইআইটির প্রাক্তনী। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই থানার ভেতর তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি পুলিশের উপরমহলে এনিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে বলে খবর।
অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি তিনি জানিয়েছেন তিনি। ইমন কল্যাণের দাবি, তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তবে ঠিক কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনা অন্য়দিকে মোড় নিল তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে ঘটনার পরেই এনিয়ে মুখ খুলেছেন ওই গবেষক। তিনি পুলিশের উপরমহলে অভিযোগও জানিয়েছেন।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ইতিমধ্যেই জেলার পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও ডোমকল থানার পুলিশের উপরমহলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গবেষক।
ইমন জানিয়েছেন, আইআইটি খড়্গপুরে পড়াশোনার সময় তিনি পাসবইটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। বাড়ি ফিরে সেটা বুঝতে পারেন। সেকারণেই জেনারেল ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন ডোমকল থানায়। সেখানেই প্রথমে তাঁর স্ঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। তার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।এরপর একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। এমনকী ঘটনার খবর পেয়ে ইমনের বাবা মা থানায় গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।