দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় বরাবরই সরগরম থাকে। কখনও বোমাবাজি, হুমকি থেকে শুরু করে মারপিঠ, অগ্নিসংযোগ, অশান্তি এখানে লেগেই থাকে। তবে এই সব ঘটনা বেশিরভাগই রাজনৈতিক। ভাঙড়ের ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এবার রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন হল। আর ভাঙড় কলেজ মাঠে সেই কর্মী সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। আর ভাঙড় বিধানসভার একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা সেখানে হাজির ছিলেন। সেখানেই বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শওকত মোল্লা।
এই মন্তব্যের পরই সরগরম হয়ে উঠেছে ভাঙড়। কারণ শুধু দুই বিজেপি নেতাই নয়, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকেও আক্রমণ করেছেন শওকত মোল্লা। সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে শওকত মোল্লা বলেন, ‘আমি তোমাকে জঙ্গি নেতা বলেছি বলে তোমার খুব গায়ে জ্বালা করছে। তোমার যারা কর্মী আছে তারা জঙ্গি পোনা করেনি? কোর্টে যাবে যাও। আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করলে আপত্তি নেই। আমরাও কোর্টে দাঁড়িয়ে বলব, একজন সমাজবিরোধী জঙ্গি যদি কেউ থাকে তার নাম নওশাদ সিদ্দিকী। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।’
আরও পড়ুন: বড়দিনের রাতে দেদার ভাঙা হয়েছে ট্রাফিক আইন, ১৫০০ মামলা কলকাতা পুলিশের
শওকত মোল্লার এমন আক্রমণের পর কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আইএসএফ নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, কোর্টে আইনের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া হবে। এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শওকত মোল্লা। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্য, ‘সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী মানসিক সাইকো পেসেন্ট হয়ে গিয়েছে। এদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। আর সেটা না হলে এদের রোগটা সারবে না। সেন্ট্রাল গর্ভনমেন্টের যারা বিজেপি নেতারা আছেন তাদেরকে বলব বাংলায় ভাল মেডিকেল হাসপাতালে এই দুজনকে অন্তত কিছুদিনের জন্য ট্রিটমেন্ট করান।’