বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নালিশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এল বিস্ফোরক হুঁশিয়ারি। সেটা এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের নেতা কাজল শেখের পক্ষ থেকে। কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতীর ‘মান’ পড়ে যাওয়া নিয়ে প্রাক্তন উপাচার্য, ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাছাড়া তাঁদের এবং আশ্রমিকদের বুড়ো খোকা, অশিক্ষিত বলে গালিগালাজ করেছিলেন উপাচার্য। রীতি ভেঙে বসন্ত–বন্দনা করেন। সবমিলিয়ে এবার উপাচার্যকে নিশানা করলেন কাজল শেখ।
ঠিক কী বলেছেন কাজল শেখ? অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমের সংগঠন ধরে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসে বাড়তি জায়গা পান অনুব্রতর কট্টর বিরোধী কাজল শেখ। শনিবার বেলপুরের কঙ্কালীতলার সভা থেকে কাজল যা বলেছেন তাতে আবার একদফা জেলার রাজনীতিতে আলোড়ন পড়েছে। উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে এদিন কাজল শেখ বলেন, ‘বিশ্বভারতীর পৌষমেলা, বসন্ত উৎসব নষ্ট করে আপনি যা করছেন তা আমাদের জন্য মোটেই ভাল নয়। এখনও সময় আছে। শুধরে যান, সাবধান হয়ে যান। তা না হলে কাজল–ঝড় উঠবে। না শোধরালে কাজল ঝড় উঠবে।’
কেন এমন মন্তব্য করলেন কাজল? আগে অনুব্রত একাধিকবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেন। এখন তিনি জেলে। আর কাজলের এই মন্তব্যের সঙ্গে অনুব্রতর মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। এখন বীরভূমের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কাজল শেখ। সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কোর কমিটিতেও ঠাঁই দিয়েছেন। এবার উপাচার্যকে নানা বিষয়ে আক্রমণ শানান নানুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ভাষণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি বিবাদের বিষয়েও সুর চড়ান তিনি। তাই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ভুলভাল কথা বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়ানোয় তাঁর নামেও কুৎসা রটানো হচ্ছে। শুধরে যান তা না হলে খুব খারাপ হবে।’