গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসন দখল করে বিজেপি। এর পরই তৃণমূলের মাটি আরও শক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে ঢোকেন রাজনৈতিক কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তার পর থেকে ‘দিদিকে বলো’ , ‘বাংলার গর্ব মমতা’–র মতো একাধিক কর্মসূচি চলছে। আর পাশাপাশি দল ভারী করতে একেবারে তৃণমূল–স্তরে কাজ করে চলেছে পিকে–র টিম। তাদের বেশি নজর রয়েছে উত্তরবঙ্গের ওপর। সেখানকার বাম নেতাদের দলে আনার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক কর্মীরা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন বন প্রতিমন্ত্রী বনমালী রায়কে ফোন করেছিলেন পিকে–র দলের এক প্রতিনিধি। প্রাক্তন ওই মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ওরা দেখা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি পরিষ্কার না করে দিয়েছি।’ ওদিকে জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মহেন্দ্র রায়ের বাড়িতে পিকে–র দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও। তাঁদের প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছেন প্রাক্তন ওই বাম সাংসদ।সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোক্তাল হোসেন জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি পিকে–র দলের তরফ থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পান। সেই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি পিকে–র দলের লোকজনকে ৭ বছর পুরনো ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন। সে সময় ক্ষমতার বলে জলপাইগুড়ি লাগোয়া ভাঙামালি এলাকায় সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। আবার সেই ক্ষততে প্রলেপ লাগিয়ে পিকে–র দলের প্রতিনিধি জানান, ওই ঘটনার জন্য প্রয়োজনে তৃণমূল নেতা বা রাজ্য প্রতিনিধিরা এসে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবেন। এ সব শুনেও মোক্তাল হোসেন তাঁদের মুখের ওপর না বলে দিয়েছেন।যদিও এই ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেননি রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। সিপিএমের নেতাকর্মীদের দলে আনার ব্যাপারে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিকে–র দল। সে ব্যাপারে বিধায়ক বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার সময় ওই নেতারা অনেক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে তাঁরা কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দোষী নন। তৃণমূলে তাঁরা আরও ভাল কাজ করার সুযোগ পাবেন’