অপেশাদার আচরণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সাসপেন্ড হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মণ্ডল। যদিও মাস খানেক আগে তাঁর বিরুদ্ধেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই পুলিশ অফিসারেরই সাসপেনশনে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পিসি - ভাইপোর লড়াইয়ে বলির পাঁঠা হলেন মনোরঞ্জনবাবু।
আরও পড়ুন - ছবি বিক্রি অতীত, ‘আঁচল পেতে টাকা নেব’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে CPMএর পথে মমতা?
পড়তে থাকুন - ‘বার ডান্সারকে ফ্লাইং কিস TMCর মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের'
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবুর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছিল, তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক প্রেসিডেন্টের জন্মদিনের কেক কাটা হচ্ছে বারাবনি থানার ওসির ঘরে। এমনকী সেই কেক তৃণমূল নেতাকে খাইয়েও দিচ্ছেন মনোরঞ্জনবাবু। এর পর বারাবনিতে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বারাবনিতে ছোট ছোট মুখ্যমন্ত্রী আছে। তাদের ভয়ে আমরা ভয় পেয়ে যাচ্ছি। ভাবতে পারেন, শাসকদলের ব্লক প্রেসিডেন্টের জন্মদিন পালন হচ্ছে থানাতে। বারাবনি থানায় আইসি না ওসি, মিষ্টি কেক খাওয়াচ্ছে। এরা নেতা না, এরা তোলাবাজ।’
বৃহস্পতিবার নবান্নে এক বৈঠকে রাজ্যে কয়লা - বালি পাচারের সঙ্গে পুলিশের নিচুতলার একাংশ জড়িত বলে স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজীব কুমারকে বলছি, কিছু জিনিসের প্রতি যত্ন নেও। হয়তো তুমি চেষ্টা করো, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করছে না। সবাইকে বলছি না, একাংশ। পলিটিক্যাল নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। পাঁচ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। পলিটিক্যাল নেতারা টাকা খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবে। জনগণের টাকা খাওয়া কি উচিত? তাদের নিজস্ব একটা দায়বদ্ধতাও থাকে। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যারা এই গরমেন্টকে ভালোবাসে না এবং তোমার পুলিশেরও কিছু লোক, তারা টাকা খেয়ে আজকে বালি চুরি বলো, কয়লা চুরি বলো, সিমেন্ট চুরি বলো...।’
আরও পড়ুন - বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দায় ঝেড়ে ফেলল অমিত শাহের দফতর
এর পরই যে কোনও চুরির ক্ষেত্রে পুলিশকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘চুরি হলে তখন বলবে কয়লা চুরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস আর চুরি করবে CISF টাকা খেয়ে বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে আমি এটাকে টলারেট করব না। যদি কোনও রাজনৈতিক দলের লোকও খায় তার কলার চেপে ধরো। তাকে আইনের প্যাঁচে ধরো। আইনত জেলে পাঠাও। এখানে কোনও অজুহাত আমি শুনতে চাই না।’