ভোটগ্রহণের দিনই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। আর ভোটগ্রহণের পরদিন রবিবার আরও ছড়াল ক্ষোভের আগুন। পুলিশি ধরপাকড়ের বিরোধিতায় পথে নামেন মহিলারা। শনিবারের ঘটনায় অভিযুক্তদের সরবেড়িয়া - আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও ব়্যাফ। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন - ছাপ্পার অভিযোগ প্রতিকুরের, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে শুভেন্দুর দাবি আরও ভয়ানক
পড়তে থাকুন - মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই TMCর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মৃত্যু হয়: অমিত মালব্য
শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন মণ্ডলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে ন্যাজাট থানার রাজবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ তখন মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। ইটে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাদের মধ্যে মাথা ফাটে ১ জনের। সেই ঘটনায় যুক্ত অভিযোগ শনিবার রাত থেকে শুরু হয় পুলিশ তল্লাশি। রাতভর তল্লাশিতে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সকালে ফের উত্তেজনা ছড়ায় মণ্ডলপাড়া এলাকায়। পুলিশ, ব়্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পৌঁছয় গ্রামে। পুলিশ পৌঁছলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মহিলারা। পুলিশকর্মীরা মহিলাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। এর পর বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাতে থাকেন তাঁরা। বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। তাঁদের পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ফের বাধা দেন মহিলারা। আটক ব্যক্তিদের পুলিশের গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, শনিবার ভোটগ্রহণের দিন যে সমস্ত তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে ও গ্রামবাসীদের ওপর হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার না করে নীরিহ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - ৩০ দূর অস্ত, বাংলায় কত আসন পেতে পারে বিজেপি, ভোট শেষ হতেই ফাঁস করলেন খোদ সুকান্ত
রবিবার সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ।