বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক জুনিয়র চিকিৎসকের। ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বয়েজ হস্টেলে। মৃত ওই জুনিয়র চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বয়েজ হস্টেলে। ঘটনার সময় রাত ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ আচমকা হস্টেলের তিনতলা থেকে ভারী কিছু নিচে পড়ার আওয়াজ শুনতে পান হস্টেলের আবাসিকরা। যে যাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, হস্টেলের নিচের উপুড় হয়ে পড়ে আছেন কেউ। কাছে গিয়ে ওই জুনিয়র চিকিৎসককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘণ্টা দুয়েক চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় তাঁর।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম মোবারক হোসেন। পূর্ব বর্ধমানের নন্দনঘাটের বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবক। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পড়াশোনা করছিলেন মোবারক। ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর আগামী ১৬ অগস্ট থেকে হাসপাতালেরই সার্জারি বিভাগে হাউস স্টাফ হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।অন্যদিকে, ছেলের দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা। তিনি পৌঁছে জানতে পারেন তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হল, এই খুনের পিছনে কারা জড়িত তা কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তবে মৃত ওই জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে সম্প্রতি কোনও তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে তা জানতে পারেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি তাঁর। এই ঘটনার পর তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ওই জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যুর পিছনে প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।