
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
‘শোভনদেব হেরে যাওয়া মানে আমি হেরে যাওয়া।’ ২০০৬ সালে ভোট-ভিক্ষা চেয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষ হাসি হেসেছিলেন সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই। মমতার সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
রাজ্যে বাম শাসনের মধ্যে একবিংশ শতকের গোড়াতেই কলকাতা পুরনিগমে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। মেয়র হয়েছিলেন সুব্রত। কিন্তু পরে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এতটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল যে মমতা এবং সুব্রতের মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কলকাতার মেয়র থাকার সময় রোজ যে মমতার বাড়িতে যেতেন, তাতেও পড়েছিল ছেদ। প্রকাশ্যে সুব্রতের বিষয়ে কোনও কথা বলতেন না মমতাও। তারইমধ্যে সুব্রত বলেছিলেন, ‘আমি যদি মেযর না হতে পারি, অন্য কেউও হতে পারবে না।’ প্রথমে সেই কেউ অঙ্ক বুঝতে পারেননি। পরে দুইয়ে দুইয়ে চার হয়েছিল।
২০০৫ সালে পুর নির্বাচনের আগে নিজের মঞ্চ গড়েছিলেন সুব্রত। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিলেন। নিজের ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেইসময় সুব্রতের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘শোভনদেব হেরে যাওয়া মানে আমি হেরে যাওয়া। তাই এই অঞ্চলের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদের কাছে আমার অনুরোধ, বিশ্বাসঘাতককে ভোট দেবেন না। মীরজাফরকে ভোট দেবেন না।, ভোট দেবেন শোভনদেবকে।’ পালটা সুব্রত বলেছিলেন, ‘যিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন, তিনি সিরাজদৌল্লা। আর আমি হয়ে গেলাম মীরজাফর!’ যিনি ততদিন কলকাতার ইতিহাসে অন্যতম সেরা মেয়র হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করেছেন। শেষপর্যন্ত সেটাই সুব্রতের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
পুর ভোটে ফলাফলের দিন গণনা শেষের আগেই মমতার সৈনিক শোভনদেব বুঝে গিয়েছিলেন যে হারতে চলেছেন। গণনা শেষের আগেই চলে গিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে খাতায়কলমে হার হয়েছিল মমতার। সেই মমতাই বৃহস্পতিবার সুব্রতের প্রয়াণের পর বলেন, ‘জীবনে অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যুটা আমার কাছে ভীষণ-ভীষণ বড় দুর্যোগ। সুব্রতদার মতো মানুষ, এত হাসিখুশি মানুষ, এত কর্মঠ মানুষ, পার্টি অন্ত প্রাণ, বিধানসভা অন্ত প্রাণ - আর হবে কিনা, সন্দেহ আছে। আমি গোয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে কথা হল। হাসল। বলল, আমি আবার জেলায় জেলায় যাব। আজ সন্ধ্যায় আমার বাড়ির কালীপুজোয় গিয়েছিলেন এখানকার প্রিন্সিপাল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম। বললেন যে এখন ভালো আছেন, কাল ছেড়ে দেওয়া হবে। তারমধ্যে বিরাট হার্ট অ্যাটাক হল। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports