হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। দেখা করে এদিন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের। এর আগের দিনই হাঁসখালি ধর্ষণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘বিষয়টি ধর্ষণ নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।’ তবে অপরাধী যেই হোক না কেন আইন মোতাবেক তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই এদিন জানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বেরিয়ে আরও বেশকিছু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘পকসো আইনে এই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আইনে নাবালিকার সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হলেও তাকে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হয়।’ এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজনৈতিক পরিচিতি তা বড় কথা নয়। আমাদের সরকার যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা নিচ্ছে। এখানে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।’এই ঘটনাকে ধিক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল সংসদ। উল্লেখ্য, ময়না তদন্ত না করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় ওই নাবালিকার। এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এফআইআর করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা না থাকায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাঁসখালির ঘটনায়। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।