পূর্ব বর্ধমানের এক গোল্ড লোন সংস্থার দফতর থেকে ২৯.৫ কেজি সোনা লুঠ করে পালাল মোটরবাইক আরোহী ডাকাতের দল। পিছু ধাওয়া করতে গেলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন একজন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইডি আধিকারিকরা। ডাকাতদের ধরার চেষ্টা চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।শুক্রবার বর্ধমান শহরের বিসি রোডের উপরে একটি বাড়ির দোতলায় অবস্থিত ওই গোল্ড লোন সংস্থার দফতরে হানা দেয় সশস্ত্র জনা ছয়েক ডাকাতের দল। নিরাপত্তারক্ষীকে কাবু করে তারা দফতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে দফতরের কর্মীদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। ম্যানেজারের মুখের ভিতরে দিশি বন্দুকের নল ঢুকিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় ভল্টের চাবি।ভল্ট থেকে সোনার গয়না থলিতে পোরার সময় হিরামন মণ্ডল নামে এক গ্রাহক দফতরে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেয় সদর দরজার পাহারায় থাকা এক ডাকাত। তার সঙ্গে হিরামনবাবুর বচসা বাধলে তাঁকে নিশানা করে গুলি করে ওই দুষ্কৃতী। গুলিতে হিরামনবাবুর মোবাইল ফোনটি চুরমার হয়ে যায়। এ দিকে গুলির শব্দে দফতরের ভিতরে লুঠপাট চালানো অন্য ডাকাতদের টনক নড়ে। দফতর থেকে বেরিয়ে হুড়মুড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে তারা মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। অন্য দিকে, গুলিতে এতটুকু ভয় না পেয়ে বাইকে বসা এক ডাকাতকে ধরতে যান হিরামন। সেই সময় তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে ওই দুষ্কৃতী, তার সঙ্গী তাঁকে লক্ষ্য করে আবার গুলি চালায়। পিঠে গুলি বিঁধে রাস্তায় পড়ে যান হিরামন। পিলখানা লেন বরাবর বাইক ছুটিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। আহত হিরামন মণ্ডলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, লুঠ হয়ে যাওয়া গয়নার মোট ওজন ২৯.৫ কেজি। খবর পেয়ে গোল্ড লোন দফতরে এসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলেছে। পাশাপাশি জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং, জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। দুষ্কৃতীদের খুব তাড়াতাড়ি ধরা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।