পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে নানা জেলায় এখন জেলা কমিটি সাজানো হচ্ছে। তাতে কেউ খুশি হচ্ছেন। আবার কেউ অখুশি হয়ে বিদ্রোহ করছেন। উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীকে সম্প্রতি নানা কারণে বিদ্রোহ করতে দেখা গিয়েছে। তবে পরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। এবার জেলা কমিটি নিয়ে বেসুরো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিন সরাসরি তিনি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। কলকাতার নেতাদের দিকে আঙুল তোলায় বড় কোপ পড়তে পারে জেলা রাজনীতিতে। তাঁর বক্তব্য, রাজনীতি করেননি এমন ব্যক্তি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিতে জায়গা পেয়েছে। নতুন কমিটি নিয়ে এই ভাষাতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। আর তা নিয়ে এখন বেজায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে।
ঠিক কী বলেছেন কৃষ্ণেন্দু? মালদা জেলা রাজনীতিতে কৃষ্ণেন্দু–সাবিত্রী সম্পর্ক অম্ল–মধুর বলেই সবাই জানে। এবার সকল বিবাদকে ছাপিয়ে গেল কৃষ্ণেন্দুর। এদিন সরাসরি দল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। কৃ্ষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘যারা আগে দলের মিছিলে হাঁটেননি। স্লোগান দেননি। পাড়ায় পাঁচটি ছেলে নেই। বুথ নির্বাচনে হেরে যায়। তাঁরা দলের দায়িত্বে আছেন। কলকাতার নেতারা পর্যালোচনা না করেই জেলা কমিটি তৈরি করেছেন। তার জেরে দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।’