গত রবিবার স্ত্রীকে খুন করে সোজা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। তার পর থেকে দফায় দফায় দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার বিপ্লব পারিয়াদকে জেরা করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর তাতেই উঠে এসেছে দাম্পত্যের নানা কাহিনী। কখনো স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কখনও আবার কান্নায় ভেঙে পড়ে জানিয়েছেন ওকে আমি খুন করতে চাইনি।দাম্পত্যকলহের জেরে গত রবিবার কুকুরের বকলেস দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বিপ্লব। দুর্গাপুরের মামরাবাজারের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ওই আধিকারিক স্ত্রী ঈপ্সা প্রিয়দর্শিনীকে খুনের পরই চলে যান থানায়। সেখানে পুলিশকর্মীদের ঘটনার কথা জানান তিনি। ফ্ল্যাটে গিয়ে ঈপ্সার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার বিপ্লবকে আসানসোল আদালতে পেশ করে পুলিশ। তার পর থেকে ৫ দিনের হেফাজতে কাঁকসা থানার লক আপেই রয়েছেন তিনি।গত ২ দিনে অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করেছেন আধিকারিকরা। তাতে কখনও দৃঢ় আবার কখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন বিপ্লব। আদপে ওড়িশার কটকের বাসিন্দা বিপ্লব পুলিশকে জানিয়েছেন। খামখয়ালি স্ত্রীর বায়না মেটাতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অফিসের কাজের চাপ সামলে তাঁর নিত্য খেয়াল আর তাঁর পক্ষে সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই স্ত্রীকে একটু সমঝে দিতে গলায় বকলেস পেঁচিয়ে ধরেছিলেন। তাতে যে তাঁর মৃত্যু হবে তা বুঝতে পারেননি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বাস করুন। আমি ওকে খুন করতে চাইনি। কিন্তু সব এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে তা বুঝতে পারিনি।’তদন্তে নেমে কটকে বিপ্লবের গতিবিধির খবর নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে পণের জন্য বধূহত্যার অভিযোগ এনেছেন ঈপ্সার বাড়ির সদস্যরা। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওসব বাজে কথা। ব্যাঙ্ক আধিকারিক হওয়ায় টাকা চাইলে তো আমি বিয়ের সময়ই চাইতে পারতাম। এই কদিনের মধ্যে টাকা চাইতে যাব কেন?