কলকাতা এয়ারপোর্টের দিক থেকে এগোলে প্রথমে পড়ে মধ্য়মগ্রাম চৌমাথা। তারপর বেশ খানিকটা এগোলেই বারাসত। কাছাকাছি দুই জনপদ। এবার কালীপুজোতে দুই শহরের মধ্যে কার্যত প্রতিযোগিতা চলছে পুরোদমে। ভিড় থেকে পুজোর চমক, কে কাকে কতটা টেক্কা দেবে তা নিয়ে রীতিমতো বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই শুরু হয়েছে।বারাসত নাকি মধ্য়মগ্রাম কে কতটা এগিয়ে গেল, কে কতটা পিছিয়ে গেল তা নিয়েও রীতিমতো চর্চা চলছে মধ্যমগ্রাম ও বারাসতের মধ্যে।সন্ধ্যা থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে বারাসতের পাশাপাশি মধ্য়মগ্রামেও। মধ্যমগ্রামেও এবার একাধিক বিগ বাজেটের পুজো করা হয়েছে। দুপক্ষই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে।মধ্যমগ্রামের যে পুজোগুলি একেবারেই মিস করবেন তার মধ্যে অন্যতম হল মেঘ দূত শক্তি সংঘের পুজো। এবার তাদের পুজোর থিম কী নেই এখানে। মূলত গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জেলাকে এক প্যান্ডেলের তলায় হাজির করা হয়েছে। কোন জেলায় কী বিখ্য়াত, সেই জেলার নানা দিক এই পুজোর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।এবার এই পুজো ৫২ বছরে পা দিয়েছে। রাত পর্যন্ত এখানকার মণ্ডপে ভালোই ভিড় হচ্ছে।মধ্যমগ্রাম চৌমাথা হয়ে বারাসত যেতে হয়। আর সেই মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় রয়েছে ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের পুজো। মহিষাদলের রাজবাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। টেরোকোটার শিল্পকর্মের ছোঁয়াও থাকছে মণ্ডপে। বাংলার প্রাচীন শিল্পকর্মকে তুলে ধরা হয়েছে এই মণ্ডপের মাধ্যমে।মধ্যমগ্রামের দোহারিয়া শৈলেশনগরের পুজোকেও মিস করবেন না। সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের আদলে করা হয়েছে এই মণ্ডপকে। সত্যজিৎ রায়কেও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এবছর তাদের পুজো৫৯ বছরে পা দিয়েছে। অধিকাংশ পুজোই বেশ প্রাচীন। বছরের পর বছর ধরে কালীপুজো হচ্ছে বারাসতে আর মধ্যমগ্রামে।স্থানীয়দের একাংশের মতে, একটা সময় বারাসতেই এই কালীপুজোর বেশ জাঁকজমক করে হত। তবে সময়ের সঙ্গে এবার পুজো মধ্য়মগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। রাত যত বাড়ছে পাশাপাশি দুই শহরে জনসমাগমও তত বাড়ছে।