করোনা আবহে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া নিয়ে কাঁথি পুরসভার সঙ্গে অধিকারী বাড়ির লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। কাঁথি পুরসভার অবশ্য বক্তব্য, জেলাশাসক ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে অ্যাম্বুলেন্সটি পুরসভাকে দিয়েছেন। অন্যদিকে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর দাবি, সাংসদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পুরসভাকে দিয়েছে ব্যবহারের জন্য। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অবশ্য চালু হয়নি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী খাতায় কলমে তৃণমূলে থাকলেও দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অধিকারী বাড়ির কারও সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে শুভেন্দুর অপর ভাই সৌমেন্দু এখন বিজেপিতে। একটা সময়ে সৌমেন্দুই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। এখন সেই আধিকারী বাড়ির সঙ্গেই কাঁথি পুরসভার বিশাল দুরত্ব তৈরি হয়েছে। মন কষাকষি এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে অ্যাম্বুলেন্স দানের কৃতিত্ব নিতে দুপক্ষের কেউই এক চুল ছাড়ছে না। এই প্রসঙ্গে কাঁথি পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি জানান, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু আসল কথা হল উনি কোনও সাহায্যই করেননি। স্বয়ং জেলাশাসক ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমাদের এই অ্যাম্বুলেন্স দান করছেন। কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলি শেষ হলেই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। একই সুর শোনা গিয়ে কাঁথি প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুবল মান্নার কথাতেও। তিনি জানান, দিব্যেন্দু অ্যাম্বুলেন্স আনার জন্য চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। এদিকে অ্যাম্বুলেন্স আনার কৃতিত্ব নিজের দিকে আনার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন দিব্যেন্দু। তিনি জানান, ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারি তিনি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে কাঁথির বাসিন্দাদের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সের আবেদন করেন তিনি। রাজনীতির জন্য নয়, কাঁথির মানু্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি প্রচেষ্টা করেছেন। আমি কাঁথিবাসী হিসাবে এই প্রচেষ্টা করেছি। এই কৃতিত্ব কে নেবে না নেবে, তাতে কিছু এসে যায় না।’