এই পরিবারগুলির এত বিদ্যুৎ বিল এল কী করে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখন ঢাক বন্ধক দিতে হচ্ছে। বাঁশের দাম ১০০ থেকে দেড়শো টাকা। একটা বাঁশ থেকে চার–পাঁচটা ঝুড়ি হয়। ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এখন বাঁশও তাঁরা কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে জঙ্গল থেকে লতা এনে ঝুড়ি বানাচ্ছেন।
গোটা গ্রাম অন্ধকার।
এখনও সেভাবে গরম পড়েনি বঙ্গে। তার মধ্যেই গ্রামের গরিব মানুষদের বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। একাধিক গ্রামীণ মানুষের বাড়িতে এই বিদ্যুৎ বিল চক্ষু চড়কগাছ করেছে তাঁদের। দিন আনে দিন খায় গ্রামীণ মানুষজন এই বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেনি। বাড়িতে তেমন কোনও ইলেক্ট্রনিক জিনিসও নেই। তাই বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে গোটা গ্রাম অন্ধকার। সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেখানে পরীক্ষার্থীদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে গ্রামবাংলায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনডিহা গ্রামের ডোমপাড়া এখন অন্ধকারে। এখানে ডোম সম্প্রদায়ের মানুষজন বাস করেন। এই গ্রামের গরিব মানুষজন এখন বিপদের মধ্যে বাস করছেন। পড়াশোনা করতে পারছে না পড়ুয়ারা। এখানের মানুষজন বাঁশ থেকে ঝুড়ি–সহ নানা সামগ্রী তৈরি করে তা বিক্রি করে জীবননির্বাহ করেন। এমনকী একশো দিনের কাজ করেও টাকা পাননি। আবার বিভিন্ন পার্বণে ঢাক বাজিয়ে রোজগার করেন তাঁরা। সেখানে এমন সংকটে এখন দিশেহারা তাঁরা।