২০২১ এর আগে কলকাতায় দুর্গাপুজোর আয়োজনকে ঘিরে একেবারে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে এবার উত্তরবঙ্গে দুর্গাপুজোর আয়োজনে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, কোচবিহারে জেলা পার্টি অফিসের কাছে মণ্ডপ বাঁধার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয়। জেলার ১৪টি ক্লাবকে তারা আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সূত্রের খবর, ১০টা সাংগঠনিক ব্লক ও চারটি শহর মণ্ডল মিলিয়ে এই অনুদান দেওয়া হবে। বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, একটা নয়, একাধিক পুজো হচ্ছে। তাদের পাশে আমরা থাকছি। সামাজিক দিক থেকে আমরা থাকছি। আর জেলা কার্যালয়ের সামনে দলের কর্মীরা বলেছিলেন পুজোর আয়োজন করার ব্যাপারে সেটাই করা হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষের উৎসবের পাশে সবসময় রয়েছি। আর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কাউকে আমরা অনুকরণ করি না। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। শহরের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিপদে আপদে আমরাই থাকি। উৎসবের আয়োজনেও আমরা থাকছি। তবে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটা কমিটি গড়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে রাজনৈতিক পর্য়বেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেয়। এনিয়ে নানা সময়ে কটাক্ষ করেছেন গেরুয়া শিবিরের লোকজন। তবে এবার বিজেপির পক্ষ থেকে ১৪টি পুজো কমিটিতে সহায়তা করার উদ্যোগ। কোচবিহারের মধুপুর, দিনহাটা, শীতলকুচি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর আয়োজনে পাশে থাকবে বিজেপি। জনসংযোগে জোর দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম দুর্গাপুজো। তবে এবার পুজোর সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে থাকার উদ্যোগ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। এদিকে এনিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে নানা চর্চা চলছে। তৃণমূলও এনিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মতে, বিজেপির নেতারা পুজোতে সহায়তার করার নামেও বৈষম্য করছে। তাছাড়া ওরা পুজোর উদ্বোধনে নেমন্তন্ন পায় না। ওই জন্য ওসব করছে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহারে বরাবরই শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। এবার লোকসভা ভোটের আগে পুজোর আয়োজনে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসে কার্যত সেই জনভিত্তিতে শান দেওয়ার চেষ্টা গেরুয়া শিবিরের।