বাংলার রেল ব্যবস্থায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল এনজেপি। শিলিগুড়ি, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে কলকাতায় যোগাযোগের অন্যতম স্টেশন হল এই এনজেপি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এনজেপি থেকে কলকাতা আসার জন্য রাত ৯টার পরে সেভাবে আর ট্রেন থাকে না। এর জেরে অত্যন্ত সমস্যায় পড়ে যান রেলযাত্রীরা।
এবার সেই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রাত ১০টার পরে যাতে এনজেপি ও কলকাতার মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা করা যায় সেকারণেই এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
সমস্যাটা ঠিক কোথায়?
আসলে শিলিগুড়ি ও কলকাতার মধ্য়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল তিনটি। বিমান, ট্রেন ও বাস। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি দুটি বাসই রয়েছে। কিন্তু মূল সমস্যাটি হল রাত ৮টা ৪০ থেকে রাত ৯টার পরে এনজেপি ও কলকাতার মধ্য়ে যোগাযোগ কার্যত বহুক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এনজেপি থেকে প্রধান যে ট্রেনগুলির হাওড়া বা শিয়ালদার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সেগুলির বেশিরভাগই রাত ৯টা পর্যন্ত থাকে। তারপর কেউ যদি স্টেশনে যান তবে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। অন্য়দিকে বাসের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি। বহু যাত্রী শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস ও সংলগ্ন বিভিন্ন বাস ডিপো থেকে কলকাতাগামী বাসে চড়েন। কিন্তু সেখানেও দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাত ৯টা পর্যন্ত বাস থাকে। তারপর বাস পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়।
তবে অনেকের মতে, শিলিগুড়ি থেকে ট্রেন বা বাস যদি দেরি করে ছাড়ে তবে কলকাতায় আসতে তা অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। সেটার ক্ষেত্রে আবার পর্যটকদের সমস্যা হতে পারে। সাধারণ যাত্রী যাদের কলকাতায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে তাঁদেরও সমস্যা হতে পারে। তবে উলটো দিক থেকে রাতের দিকে ট্রেন বা বাস থাকলে বহু যাত্রীর সুবিধাও হবে। সেকারণেই এবার চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ রাতে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী বাস, ট্রেন বা প্লেন পরিষেবাগুলি রাত ৮টা ৪০ মিনিটের পরে থাকে না বললেই চলে। সেকারণে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছি। সেখানে লিখেছি রাত ১০টার পরে কোনও ট্রেন সার্ভিস যেটা কলকাতার দিকে রওনা দেবে তেমন ব্যবস্থা করার জন্য খতিয়ে দেখার জন্য লিখেছি। দুই সাংসদ রাজু বিস্তা ও জয়ন্ত রায়ের সহযোগিতাও প্রার্থনা করছি।