
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিজেপি সবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সিপিএম আজ করে দেখিয়েছে। শূন্যের গেরো কাটাতে এবার বড় পদক্ষেপ করল সিপিএম। এবার এই প্রথমবার জেলা সিপিএমের শীর্ষপদে বসানো হল প্রাক্তন মহিলা মন্ত্রীকে। বাঁকুড়া জেলায় সিপিএমের সম্পাদক হলেন পিছিয়ে পিছড়ে বর্গের প্রতিনিধি দেবলীনা হেমব্রম। আজ, বৃহস্পতিবার জেলা সিপিএমের সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাতে সকলে সম্মতি দিয়েছেন। আসলে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ধরতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে নতুন প্রজন্মকে নামিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল সিপিএমের। কোনওরকমে দুটি কেন্দ্রে জামানত বাঁচানো গিয়েছিল। তবে নতুন প্রজন্ম থেকে সিপিএম মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। কারণ শূন্যের নীচে তো আর কোনও সংখ্যা হয় না। এবার তিনজনের মধ্যে প্রতিযোগিতায় দেবলীনা হেমব্রমকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা মুখকে জেলা সিপিএমের শীর্ষপদে বসানো হল। তবে তাতে কি শূন্যের গেরো কাটবে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিন–মৃত্যুদিন দুই তারিখ পোস্ট রাহুল গান্ধীর, দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা
অন্যদিকে শূন্যের গেরো কাটানো যাবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। তবে বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের শীর্ষপদে দেবলীনা হেমব্রমকে নিয়ে এসে হারানো সংগঠন শক্তিশালী করতে চায় সিপিএম। সেটা হতেও পারে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের যে সংগঠন এখন বাঁকুড়ায় গড়ে উঠেছে তার সঙ্গে এঁটে ওঠা বেশ কঠিন। যদিও বাঁকুড়ার রানিবাঁধের মেয়ে দেবলীনা হেমব্রম। আদিবাসী পরিবারের সন্তান। বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে নিজের এলেকায় নানা কাজ করার কৃতিত্ব রয়েছে দেবলীনা হেমব্রমের। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রত্যেকবার রানিবাঁধ থেকে ভোটে জিতেছেন। ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সময়েও রানিবাঁধ ধরে রেখেছিলেন দেবলীনা। বামফ্রন্ট সরকারে আদিবাসী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। দেবলীনা হেমব্রম সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
সিপিএম এখন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সংগঠন সাজাচ্ছে। ভোটবাক্সে শূন্য হয়ে যাওয়া সংগঠনকে এভাবেই সাজাচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। রাজ্য সম্মেলন থেকে একাধিক রদবদল করা হয়েছে। আজ বাঁকুড়ার বড়জোড়া জেলা সম্মেলন থেকে জেলা সিপিএম সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল এক আদিবাসী মহিলা সদস্যকে। দেবলীনা হেমব্রমকেই বেছে নেওয়া হল জেলা সম্পাদক হিসেবে। কারণ এই জেলার প্রত্যেকটি জায়গা হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports