ফেসবুকে মেয়ে সেজে ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে গিয়ে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হল এক যুবককে। ১৯ বছর বয়সী ওই যুবকের মলদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা সোমবারের।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মাস আগে ফেসবুকে ঋক দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা যুবকের। এর পর চলতে থাকে চ্যাট। গত সোমবার যুবককে ব্যান্ডেল স্টেশনে দেখা করতে বলে পেশায় সূত্রধর ঋক। স্টেশনে পৌঁছে সে দেখে ঋকের সঙ্গে রয়েছে আরও ১ যুবক। এর পর ২ জনে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ যুবকের। মলদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে শরীরের ভিতরেই থেকে যায় লাঠির একাংশ। ঝরতে থাকে রক্ত।কোনও ক্রমে বেরিয়ে রাত ৯টা নাগাদ চুঁচুড়া হাসপাতালে পৌঁছয় ওই যুবক। পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যুবকের দাদা এসে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়।ঘটনায় চিনসুরা থানায় ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত যুবকের দাদা। বুধবার তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের নাম বসির আলি। সেই ঋক দাস নামে ফেসবুকে প্রোফাইল খুলেছিল বলে দাবি পুলিশের। হুগলির ঈশ্বরবাসের বাসিন্দা সে। ধৃত অপর অভিযুক্ত মাধব মণ্ডল দেবানন্দপুরের বাসিন্দা।অভিযোগ অস্বীকার করে বসির জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ছাত্রই মেয়ে বলে পরিচয় দিয়ে জোর করে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এর পর তার বাড়ি আসার জন্য বায়না জোড়ে। অভিযুক্ত মাধব মণ্ডলের আসল বাড়ি কাপাসডাঙায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বছর তিনেক আগে দেবানন্দপুরে বাড়ি করে সে। বাড়িতে রোজ মদের আসর বসে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। বহিরাগতদের যাতায়াতও রয়েছে বলে দাবি। ধৃতদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাতে বহু আপত্তিকর ভিডিয়ো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।