শুক্রবার কোচবিহারে ভয়াবহ সংঘর্ষ তৃণমূল বনাম বিজেপির। বিজেপির পার্টির অফিসের সামনে চলে যায় তৃণমূলের লোকজন। এদিকে বিজেপির নেতা কর্মীরাও জেলা পার্টি অফিসের বাইরে চলে আসেন। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। পার্টি অফিসের সামনে থাকা একাধিক গাড়িতে চলে ভাঙচুর। রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে টিএমসিপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরে মিছিল ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। সেই মিছিল থেকে ফেরার পথে তারা জড়ো হয়েছিল রাস মেলার মাঠে। এদিকে কাছেই ব্যাঙচাতরা রোডে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে। তার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্য়ে বচসা শুরু হয়। এরপরই পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। অভিযোগ এমনটাই। এরপর তারা রাস্তা অবরোধ শুরু করে। পুলিশ নামে এলাকায়। পুলিশ সরিয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে। এদিকে পার্টি অফিসের সামনে প্রচুর বিজেপির নেতা কর্মীরা ছিলেন। তাদেরকেও সরিয়ে দেয় পুলিশ।
বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় সংবাদ মাধ্যমে বলেন, যুব মোর্চার তরফ থেকে শহরে একটা মিছিল বের করার উদ্যোগ নিয়েছিল। চাকরিহারারা যাতে ন্যায্য অধিকার পান সেকারণে আমাদের মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিলের উপর আক্রমণ করেছে তৃণমূল। আন্দোলন করতে দেবে না তৃণমূল। পুলিশ নীরব। শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে এই কাজ হতে পারে। পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের যত মারবে তত আমরা রাস্তায় নামব।
এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশের সামনে ভাঙচুর করা হল। পার্টি অফিসের সামনে একাধিক গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি , গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি দায়ী। তারা নানাভাবে উসকানি দিয়ে এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। তারা ভাঙচুর করেনি
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহারে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের সংঘর্ষ হয়। তবে এবার একেবারে সেই সংঘর্ষ হল বিজেপির পার্টি অফিসের দোরগোড়ায়। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের।
এদিকে কলকাতাতেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এবিভিপির এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে এবিভিপি সদস্যদের।