বাংলায় তৈরি হচ্ছে চারটি নতুন ইএসআই হাসপাতাল, কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া রাজ্যের

আবার কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া দিল রাজ্য সরকার। বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে উন্নত করতে এবার এখানে তৈরি করা হচ্ছে চারটি নতুন ইএসআই হাসপাতাল। আর সেই প্রত্যেকটি হাসপাতাল থাকবে ১০০ শয্যা। এই চারটি ইএসআই হাসপাতাল গড়ে উঠলে গ্রামবাংলার মানুষের ব্যাপক উপকার হবে। মোট ৬৮টি নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি হবে। এই হাসপাতালগুলিতে চালু করা হবে পিএইচডি, এমডি, নার্সিং এবং প্যারামেডিক্যাল পাঠ্যক্রমও। ইএসআইয়ের পরিচালন পর্ষদ সূত্রে এই খবর মিলেছে।কোথায় হবে চারটি ইএসআই হাসপাতাল? ইএসআইয়ের পরিচালন পর্ষদ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দার্জিলিংয়ে তৈরি হবে অত্যাধুনিক এই চারটি ইএসআই হাসপাতাল। এই হাসপাতালগুলিতে রোগীরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে যাবতীয় বিষয়ে সবরকমের সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার বলে জানানো হয়েছে। ইএসআই পরিচালন পর্ষদের সদস্য এসপি তিওয়ারি জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দার্জিলিং এবং হলদিয়ায় দু’টি ১০০ শয্যার হাসপাতাল চালু হতে চলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে এবং উত্তর ২৪ পরগনার গড় শ্যামনগরে হবে বাকি দু’টি হাসপাতাল।আরও পড়ুন: বিহারের যুবকের দেহ ভেসে উঠল কলকাতার জলাশয়ে, তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দারাইএসআই কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই চারটি হাসপাতাল তৈরি করার জন্য নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে। নদিয়ার কল্যাণীতে এইমস এখন তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। যা পুরোদমে চালু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, দার্জিলিংয়ের মতো পাহাড়ি এলাকায় প্রস্তাবিত ইএসআই হাসপাতাল চালু হলে অসংখ্য মানুষের উপকার হবে। দুই মেদিনীপুরে এবং উত্তর ২৪ পরগনায় নয়া তিন ইএসআই হাসপাতাল হলে দক্ষিণবঙ্গের রোগীরা সহজেই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এই চারটি হাসপাতাল তৈরি হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে এবং মালদার বীরপুরে আরও দু’টি নতুন হাসপাতাল গড়ার প্রস্তাব রয়েছে। তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা হবে রাজ্যের সঙ্গে।এছাড়া এখন সারা দেশে ইএসআই পরিচালিত ১৬০টি হাসপাতাল আছে। তার মধ্যে আটটি সাধারণ হাসপাতাল এবং দু’টি দন্তচিকিৎসার হাসপাতাল আছে। আর সেখানে ডাক্তারির কোর্স চালু রয়েছে। সেগুলিতেই এবার চালু হবে প্যারামেডিক্যাল কোর্স। আর ডাক্তারিতে ইএসআইয়ের সদস্যদের সন্তানদের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষিত থাকে এইসব হাসপাতালগুলিতে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পাশ করলেই এই সংরক্ষিত আসনের সেই সুবিধা নেওয়া যায়। এই বিষয়ে এসপি তিওয়ারি বলেন, ‘প্যারামেডিক্যাল কোর্সেও ওই ধরনের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’