বীরভূমে মিঠুন চক্রবর্তীর জবাবি প্রচারে গিয়ে বীরভূমে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার মহুয়াকে পালটা জবাব দিতে আসরে নামলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের তৃণমূল সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তারপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘মহুয়া মৈত্র সুযোগ সন্ধানী। তাঁর মতো দলবদলু মহিলার প্রশ্নের কোনও জবা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’এর আগে বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে ‘মহা চোর’ এবং বিজেপিকে ‘খেঁকশিয়াল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মহুয়া। জবাবে দেবশ্রী বললেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা ছোট দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লালনপালন করে নেত্রী বানিয়েছে। তাই আমাদের ক্ষতি করার ক্ষমতা তৃণমূলের নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ছোটোখাটো খেলোয়াড়কে তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বিজেপির।’দেবশ্রী শনিবার বলেন, ‘বর্তমানে তৃণমূল নেতাদের কোনও নৈতিকতা নেই। তৃণমূল নেতানেত্রীদের চৌর্যবৃত্তি, শিক্ষাক্ষেত্রকে কলুষিত করার ঘটনার সাক্ষী গোটা দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা ছি ছি করছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির।’এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ‘চড়ামচড়াম’ প্রসঙ্গে দেবশ্রী বলেন, ‘যাঁরা চড়ামচড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলে হুঙ্কার দেয়, তাদেরকেও বাজিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের কাছে আছে।’ প্রসঙ্গত, গরুপাচার কাণ্ডে বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই আবহে অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ছাপ ফেলতে মরিয়া বিজেপি। অপরদিকে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেও নিজেদের জমি ধরে রাখতে সচেষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে কোমর কষে দুই শিবিরই বীরভূমের ওপর মনোনিবেশ করেছে।