
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
রাজ্য বিজেপির অন্দরে আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব বারবার দেখেছে রাজ্যবাসী। আর এই দ্বন্দ্ব রয়েছে মণ্ডল থেকে জেলা সর্ব স্তরেই। এখন প্রত্যেক স্তরেই বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল ঘটেছে। তাতে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। কারণ নানা পদে বেশিরভাগ নতুন মুখ এসেছে। সেটা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবিরে। প্রকাশ্যে চলে আসছে আদি–নব্য দ্বন্দ্ব। যা এখন কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিরোধী দলনেতার। আর তাই এই পরিস্থিতি বাগে আনতে বিজেপিতে নব্য শুভেন্দু অধিকারী দলের পুরনো নেতাদের বাড়ি যাতায়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা এবং মণ্ডল স্তরের নেতৃত্বকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে খবর। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই বিরোধ থামাতেই শুভেন্দুর এই নিদান বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্র—কাঁথি ও তমলুকের নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তমলুকের নিমতৌড়িতে সাংগঠনিক জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক হয়। আর কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা কমিটির নতুন পদাধিকারীদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সভাও হয়। আর সেখানেই বিরোধী দলনেতা কর্মীদের পরামর্শ দেন—আদি নেতারা যেন দ্রুত রাজনীতির ময়দানে নামেন। বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করুন। শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা, ‘কারও কোনও জারিজুরি চলবে না। এটা খুব শক্ত মাটি।’
কেন হঠাৎ এমন নিদান? অক্টোবর মাসে উৎসবের মরসুম। আর তা শেষ করে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেখানে কাঁথি এবং তমলুক আসন দুটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একটি বাবা শিশির অধিকারী অন্যটিতে ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখন রয়েছেন। এই দু’জনই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ। এই দুটি আসন ২০২৪ সালে যাতে হাতছাড়া না হয় তার জন্যই এত কাঠখড় পোড়ানো। শিশির অধিকারী আবার দাঁড়াবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। কারণ তিনি অসুস্থ। সেখানে অন্য কেউ প্রার্থী হবেন। আর তমলুকের বিষয়টিও বেশ চাপের। তৃণমূল কংগ্রেস দিব্যেন্দু অধিকারীকে টিকিট না দিলে তিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়াবেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, ‘দলের নতুন ও পুরাতন কার্যকর্তাদের শুভেচ্ছা জানানো এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য কী করণীয় তার দিক নির্দেশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। পুরনোরা যাতে যোগ্য মর্যাদা পান, তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করল রাজভবন, পৌঁছল চিঠি
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন আদি–নব্য নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে কাঁথি, তমলুক আসন বের করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিজেপির হাতে এই দুটি আসন তুলে দিতে চান তিনি। সেই কারণেই এমন নিদান দিয়েছেন। তবে যদি দেখা যায় দুটি আসনেই অধিকারী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাহলে আদি নেতারা কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। এই দুটি আসন নিজের হাতে রাখতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই শীর্ষ নেতাদের প্রার্থী করা হবে। কাদের প্রার্থী করা হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেখানে টাফ ফাইট হবে এই দুটি লোকসভা আসনে। এটা বুঝতে পেরেই শুভেন্দু অধিকারী এখন থেকে হোমওয়ার্ক করতে শুরু করলেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তম বারিকের কথায়, ‘এখানে অনেকেই এখন আমাদের সঙ্গে চলে এসেছেন। তাই লোক দেখানো কথা বলছেন বিরোধী দলনেতা।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports