টাকা রোজগার করার অভিনব উপায় বের করেছিলেন এক ব্যক্তি। পথটা ঝুঁকির হলেও ভালই টাকাকড়ি রোজগার হচ্ছিল। কিন্তু অসাধু উপায়ে এই টাকা রোজগার স্থায়ী হল না। কারণ ওই ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হল ওই ব্যক্তিকে। এই নাম ভাঁড়িয়ে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিজেকে দাবাড়ু বলে পরিচয় দিতেন তিনি। যদিও সেটাও ভুয়ো। জাতীয় স্তরের দাবাড়ু বলে নিজেকে এলাকায় পরিচয় দিতেন। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে টাকা নিতে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করতেন। এবার সবটাই ফাঁস হয়ে গেল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ রায়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাগদা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাংসদের নাম ভাঁড়িয়ে টাকা তোলার জন্য। এই প্রকাশ রায়ের বাড়ি হাবড়া থানার অন্তর্গত আক্রমপুর এলাকায়। এখানে নিজেকে জাতীয় স্তরের দাবাড়ু বলে পরিচয় দিয়ে চলতেন ধৃত ব্যক্তি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ওখানে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করতেন। আর্থিক সাহায্য চাওয়া হতো। এই কথা জানতে পারেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা। স্থানীয় বিডিও–সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আদিবাসীদের বলপূর্বক সরানোর অভিযোগ, দেউচা পাঁচামি নিয়ে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের
স্থানীয় সূত্রে খবর, এভাবেই কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রকাশ রায়। সম্প্রতি পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা নাম ভাঁড়িয়ে তোলে ধৃত বলে অভিযোগ। তখনই সন্দেহ হয় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নামে। তখন খোঁজখবর করে জানতে পারা যায়, একাধিক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি–সহ ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের কাছ থেকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তুলেছে প্রকাশ রায় বলে অভিযোগ। আজ, শনিবার প্রকাশ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন বাগদার ব্লক আধিকারিক রসুন প্রামাণিক। বাগদা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত সর্দার এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রকাশ রায় বাগদাতে এসে নিজেকে দাবাড়ু হিসেবে পরিচয় দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পাঠিয়েছে বলে আর্থিক সাহায্য চান।’