সেই স্বপ্নের জয়রাইড। সেই পাহাড়ের বুক চিরে হুইসিল বাজিয়ে ছুটে চলা মোহময়ী ট্রেন। সেটাও আবার প্রায় সাড়ে তিনমাস পর। করোনার ধাক্কা কিছুটা সামলে ফের দার্জিলিং পাহাড়ে শুরু হয়ে গেল টয় ট্রেনের জয় রাইড। আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম। আর ঘুম থেকে দার্জিলিং। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, মোট ৬টি ট্রেন চলবে এই পথে। এর মধ্যে ৪টি স্টিম ইঞ্জিন ও ২টি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন। ডিজেলে মাথাপিছু খরচ তুলনায় কিছুটা কম। এক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচ ধরা হয়েছে হাজার টাকা। অন্যদিকে স্টিম ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে খরচ ধরা হয়েছে মাথাপিছু দেড় হাজার টাকা। বলা যায় পুজোর আগে নিঃসন্দেহে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে খুশির খবর। স্বাধীনতার দিবসেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এই টয়ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। তবে প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই হবে। আসলে এই যে রাজ্য জুড়ে করোনার দাপট। মন খারাপ করে বাড়িতেই বসে রয়েছেন অনেকে। কিন্তু আর কতদিন। সামনেই তো পুজো। আর বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। করোনা বিধি মেনে একবার পরিবার নিয়ে দার্জিলিং না গেলে আরও যেন মন খারাপটা চেপে বসে বুকের ভেতর। সেই হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় মেঘের রাজত্ব, সেই আঁকা বাঁকা পাহাড়ের রাস্তা আর হুইসিল বাজিয়ে ছুটে চলা টয় ট্রেন। এই তো চিরচেনা দার্জিলিং। কিন্তু করোনার দাপটে কোথাও যেন এই পর্যটনের আনন্দে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। তবে এবার হয়তো কিছুটা হলেও মন খারাপের অবসান। চালু হয়ে গেল টয়ট্রেনের জয় রাইড। এবার নতুন করে ফিরে পাওয়া ‘সেই খাদের ধারের রেলিংটা। আমার শৈশবের দার্জিলিংটা।’