পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষদের তর্পণের জন্য শ্রাদ্ধকর্ম করা হয়। এমন করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা মোক্ষ লাভ করে। শ্রাদ্ধে পিণ্ডদান, ব্রাহ্মণ ও গরিবদের দান-দক্ষিণা এবং ভোজন করানো উচিত। এ ছাড়া পিতৃদের উদ্দেশে কাক, কুকুর ও গোরুকেও খাওয়ানো হয়। আবার এমন কিছু গাছ আছে, যা পিতৃপক্ষের সময় লাগালে পিতৃপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এখানে জানুন, পিতৃপক্ষে কোন কোন গাছ লাগানো উচিত—অশ্বত্থ- এই গাছ লাগালে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ধর্মীয় দৃষ্টিতে অশ্বত্থ গাছ পূজনীয়। পিতৃপক্ষে অশ্বত্থ গাছের পুজো করাও শুভ। এ সময় নিয়মিত অশ্বত্থ গাছের তলায়ে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। উল্লেখ্য, অশ্বত্থ গাছ লাগালে গুরু-চণ্ডাল যোগও সমাপ্ত হয়। বট- শাস্ত্রে বটকে শুভ গাছ মনে করা হয়। এটি আয়ু বাড়ায় ও মোক্ষ প্রদান করে। পিতৃদের মুক্তির জন্য বট গাছের নীচে বসে মহাদেবের পুজো করা উচিত। এ ছাড়া, বট গাছের পরিক্রমাও করা উচিত। বেল- এ সময় বেল গাছ লাগানো উচিত। এ ছাড়া পিতৃপক্ষে বেল গাছের পুজো করলে, অমাবস্যার দিন শিবকে বেলপাতা ও গঙ্গাজল অর্পণ করলে সকল পিতৃপুরুষ মুক্তি লাভ করেন। বেল গাছ শিবের অত্যন্ত প্রিয়। পিতৃপক্ষে বেল গাছ লাগালে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি লাভ করে। তুলসী- পিতৃপক্ষে বাড়িতে অবশ্যই তুলসী গাছ লাগানো উচিত। মনে করা হয়, তুলসীর একটি পাতা বৈকুণ্ঠে পৌঁছে দিতে পারে। পিতৃপক্ষে তুলসী পাতা লাগিয়ে তার দেখাশোনা করলে পিতৃদের মোক্ষপ্রাপ্তি ঘটে। তুলসী গাছে নিয়মিত জল দিলে পূর্বপুরুষরা তৃপ্ত হন। অশোক- এ সময় অশোক গাছ অবশ্যই লাগানো উচিত। মনে করা হয়, যেখানে অশোক গাছ থাকে সেখানে শোক থাকে না। এই গাছ বাড়ির প্রবেশদ্বারে লাগালে, বাড়িতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করে না।