হিন্দু ধর্মে সমস্ত ব্রতর মধ্যে একাদশী ব্রতকে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে নির্জলা একাদশী পালিত হয়। এই একাদশী বাকি সমস্ত একাদশীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ২১ জুন সোমবার নির্জলা একাদশী ব্রত পালিত হবে। এদিন নির্জলা উপবাস করা হয়। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী নির্জলা একাদশী ব্রত পালন করলে সারা বছরের একাদশীর পুণ্য লাভ করা যায়। পাণ্ডু পুত্র ভীমকে এ কথা জানিয়েছিলেন বেদব্যাস। ভীম এই একাদশী ব্রত পালন করেন। তাই একে ভীমসেনী একাদশী বলা হয়। এই একাদশী করলে সমস্ত একাদশীর ফল লাভ করা যায়। এর ফলে মনুষ্য সুখ-শান্তি, যশ লাভ করে। জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এদিন দান-পুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয় এর ফলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং সুখ সমৃদ্ধি লাভ করে ব্যক্তি। এই সমস্ত বস্তু দান করলে মনস্কামনা পূরণ হয়—জল দান করুনজৈষ্ঠ্য মাসের শুক্ল পক্ষে নির্জলা একাদশী পালিত হয়। এ সময় গ্রীষ্ম ঋতু নিজের চরমে থাকে। তাই জলের গুরুত্ব অধিক। প্রচলিত রয়েছে যে, নির্জলা একাদশীর দিনে নির্জল থেকে কাউকে জল ভরতি কলসি দান করলে জীবনে কোনও অভাব থাকে না। সুখ, সমৃদ্ধি ও যশ লাভ করা যায়। এ ছাড়া এদিন শীতল পানীয় দান করুন। এর ফলে পুণ্যফল লাভ করা যায়।জুতো দান করুনজৈষ্ঠ্য মাসের গরমের কারণে ভূমি তপ্ত হতে শুরু করে। তাই এই একাদশীতে অসহায় ও দরিদ্রদের জুতো দান করা উচিত। এছাড়া ব্রাহ্মণদের অন্নদান, বিছানা, বস্ত্র ও ছাতা দান করা উচিত।দান ছাড়াও এদিন তুলসী পুজোর গুরুত্ব রয়েছেতুলসী বিষ্ণুর অতি প্রিয়। তাই তাঁকে হরিবল্লভাও বলা হয়। নির্জলা একাদশীর দিনে তুলসী পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন তুলসী চারার পাশে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। এর ফলে পরিবারে ধন, যশ ও বৈভবের আগমন ঘটে। এর ফলে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়।