তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে মহারাষ্ট্রে এই গণেশ উৎসবের উদযাপন অনেকটা অন্য রকমের। সেখানে বিরাট ধুমধাম করেন পুজো হয়। মুম্বইতে বড় বড় প্যান্ডেলে হয়, বিরাট বিরাট গণেশের মূর্তি আনা হয় সেখানে। আবার এইসব সর্বজনীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ের শহরতলী লালবাগের গণেশ পুজো।
মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় গণেশ পুজো লালবাগচার রাজার পুজোর ৭ চমকপ্রদ তথ্য দেখে নিন
গণেশ পুজো প্রতি বছর ১০ দিন ধরে উদযাপিত হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শুরু হয় এবং চতুর্দশী তিথিতে শেষ হয়। চতুর্থীর দিন, গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি ৬ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩ টা বেজে ১ মিনিট থেকে শুরু হবে চলবে পরের দিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। তাই ৭ সেপ্টেম্বর ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপণ করা যাবে।
তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে মহারাষ্ট্রে এই গণেশ উৎসবের উদযাপন অনেকটা অন্য রকমের। সেখানে বিরাট ধুমধাম করেন পুজো হয়। মুম্বইতে বড় বড় প্যান্ডেলে হয়, বিরাট বিরাট গণেশের মূর্তি আনা হয় সেখানে।
আবার এইসব সর্বজনীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ের শহরতলী লালবাগের গণেশ পুজো। সেখানের ভগবান গণেশের মূর্তিকে বলা হয় 'লালবাগের রাজা'। গিরগাঁও চৌপাট্টিতে এই মূর্তিটি পুজোর দ্বিতীয় দিন থেকে অনন্ত চতুর্দশী অর্থাৎ গণপতি বিসর্জন পর্যন্ত দর্শন করতে দেওয়া হয়। প্রতিদন প্রায় ১.৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী প্যান্ডেলে আসেন দেব-দর্শনের জন্য। জেনে নিন বিশাল এই পুজো সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১) কলি সম্প্রদায়ের জেলেরা ১৯৩৪ সালে লালবাগ বাজারে এই পুজো শুরু করেন। এটি ' সর্বজনীন গণেশোৎসব মন্ডল, লালবাগ নামে পরিচিত।
২) বাজারটি ১৯৩২ সালে বন্ধ হয়ে গেলে। সেখানের জেলে এবং খোলা আকাশে নীচে বসা ব্যবসায়ীরা তাঁদের বাজারের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা তৈরি করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ভগবান গণেশের নামে। তারপর কুয়ারজি জেঠাভাই শাহ, শ্যামরাও বিষ্ণু বোধে, ভি.বি. কোরগাঁওকর, রামচন্দ্র তাওয়াতে, নাখাওয়া কোকাম মামা, ভৌসাহেব শিন্ডে, ইউ.এ. রাও এবং বাসিন্দাদের সহায়তায়, বাড়িওয়ালা রাজাবাই তৈয়বালি বাজারের জন্য একটি জায়গা দিতে রাজি হন। সেই থেকে ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ, জেলেরা এবং ব্যবসায়ীরা ১৯৩৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভগবান গণেশের মূর্তি তৈরি করে পুজো শুরু করেছিলেন। তখন থেকে এখনও প্রতি বছর প্রথা মেনে এই পুজো হয়ে আসছে।
৩) ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে ভগবান গণেশ লালবাগিচা রাজা, তিনি ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। এই বাজারটি এমন একটি সময়ে তৈরি হয়েছিল যখন স্বাধীনতার সংগ্রাম চলছিল জোরকদমে।