সুপ্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালে দেখা যায় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রুদ্রাক্ষের ব্যবহার হয়ে আসছে এই দেশে। মহাদেবের পাঁচ অবতারের প্রতীক এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে সঙ্গে লেগে থাকলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সেই কারণেই ধর্ম থেকে দৈনন্দিন জীবন, সবক্ষেত্রেই ভারতীয়দের সঙ্গে রুদ্রাক্ষের সম্পর্কে বহু দিনের। কিন্তু প্রশ্ন হল বাস্তবিকই কি রুদ্রাক্ষের সঙ্গে আমাদের মানসিক এবং শারীরিক ভাল-মন্দের সম্পর্ক রয়েছে? সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।যে রুদ্রাক্ষের প্রাকৃতিক ভাবে পাঁচটি ঘাড়ী থাকে তাকে পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষ সর্বদাই পাওয়া যায় এবং এইটি সর্বাধিক মহিমান্বিত বললে মানা হয়ে থাকে। একে সাক্ষাৎ রুদ্র অর্থাৎ ভগবান শিবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। একে কালাগ্নি ও বলা হয়ে থাকে। এই রুদ্রাক্ষ প্রচণ্ড শক্তিশালী এই রুদ্রাক্ষ ধারণের মানসিক স্থিরতা প্রাপ্তি হয়। জ্ঞান ও মানসিক বৃদ্ধির সহায়ক এই রুদ্রাক্ষ। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের মানসিক অশান্তি দূর হয়ে সুখ সমৃদ্ধি লাভ হয়।পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ আয়ুর জন্য বিশেষভাবে উপকারী এটি আধ্যাত্মিক সুখ ও বৃদ্ধি করে থাকে। পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করলে অত্যন্ত শুভ ফল লাভ করা যায়। যাদের জন্ম ছকে বৃহস্পতির মহাদশা চলছে অথবা বৃহস্পতির কারণে কোন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তারা রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন এই রুদ্রাক্ষের ফলে তাদের গ্রহ দোষ কাটবে এবং এই গ্রহ তাদের সহায় হবে। এছাড়া এই রুদ্রাক্ষের কারণে বিবাহের জটিলতা দূর হয়ে থাকে এবং ব্যক্তি কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে থাকেন। জন্ম জন্ম ছকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রাচীনকালে এই রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা হতো এবং এখনো হয়ে থাকে।বিভিন্ন প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে পাঁচমুখি রুদ্রাক্ষ পরে থাকলে কাম,ক্রোধ, লোভ, মোহ এবং অহঙ্কার থেকে মুক্তি মেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবই জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফিরে আসে। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে রুদ্রাক্ষের মালা একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো সুস্থ এবং সুন্দর জীবন পেতে মুনি-ঋষিরা রুদ্রাক্ষের মালা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকারযোগাযোগ: 8777679776