Hydrogen Train in Darjeeling: হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে 'বন্দে মেট্রো'। প্রাথমিকভাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের মতো রুটে চলবে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে। কালকা-সিমলার ঐতিহাসিক রুটে সবার আগে এই ট্রেন চলবে।
ছবির ট্রেনটি ব্রিটেনের হাইড্রোজেন ট্রেন। এই জাতীয় হাইড্রোজেন ট্রেনেই এবার চড়তে পারবেন আপনিও! ছবি সৌজন্যে: রয়টার্স
বুধবার ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেনের ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে। কালকা-সিমলার ঐতিহাসিক রুটে এই ট্রেন চলবে। হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেনের এই প্রযুক্তি সারা বিশ্বে খুব কমই আছে। আসলে এই ট্রেন চালানোর খরচই এর সবচেয়ে বড় বাধা। তবে এই জাতীয় ট্রেনের মাধ্যমে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা দিচ্ছে ভারত।
প্রাথমিকভাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা সিমলা রেলওয়ে, মাথেরান হিল রেলওয়ে, কাংরা উপত্যকা, বিলমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেবগড় মাদ্রিয়ার মতো ঐতিহাসিক, ন্যারো-গেজ রুটে এই ট্রেন চলবে। এর ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের স্থানের ট্রেনগুলি আরও পরিবেশ বান্ধব হবে। আরও পড়ুন: প্রোটোটাইপ অনেক হল, এবার রাস্তায় সবুজ যান আনুন: কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী
হাইড্রোজেন ট্রেন কী?
ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের মাধ্যমে এই ট্রেন চলবে। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে রূপান্তরিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তার মাধ্যমেই এই জাতীয় ট্রেনের মোটর চালিত হয়।
হাইড্রোজেন ট্রেনের সবচেয়ে ভাল দিক কী? এর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বা অন্য কোনও ক্ষতিকারক দূষক নির্গত হয় না। ফলে ডিজেল ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব একটি অপশন। তাছাড়া, বায়ু, সৌর বা হাইড্রো-পাওয়ারের মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়েও হাইড্রোজেন তৈরি করা যেতে পারে। ফলে এই জাতীয় ট্রেনের জ্বালানী সরবরাহের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে সবুজ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য হবে।
কিন্তু ছোটো গেজের লাইনেই কেন চালানো হবে?
আসলে, হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর খরচ ব্যাপক। সেটিই এর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। গ্রিন হাইড্রোজেন (সবুজ শক্তি ব্যবহার করে উত্পাদিত হাইড্রোজেন) তৈরি করতে কেজি প্রতি প্রায় ৪৯২ টাকা করে খরচ পড়ে। এমনটাই বলছে গবেষণা এবং রেটিং সংস্থা ICRA। ফলে, ফুয়েল সেল-ভিত্তিক হাইড্রোজেন ইঞ্জিন চালাতে বিপুল খরচ হবে। ডিজেল ইঞ্জিনের তুলনায় যা প্রায় ২৭% বেশি। তাছাড়া ফুয়েল সেল ও সংরক্ষণের খরচও অনেক বেশি। সেই কারণেই বড় মাত্রায় এখনও এই ট্রেন ব্যবহার করা কার্যত অসম্ভব। হাইড্রোজেন ট্রেনের প্রযুক্তির বিষয়ে আরও জানতে এই খবরটি পড়ুন: দূষণ কমানোর জন্য জার্মানিতে হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেনের ব্যাপক সম্ভাবনা
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক