অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আহমেদ ও আকাশদ্বীপকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। কারণ প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তাঁদের পারফরম্যান্সের সৌজন্যেই দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে অ্যাডভান্টেজ বাংলা।
রবিবার ন'উইকেটে ২৭৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে আরও ৩৭ রান জোড়ে বাংলা। ১৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন অনুষ্টুপ। কে এল রাহুল, করুণ নায়ারদের দলের বিরুদ্ধে সেই রান যথেষ্ট কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু রানটা যে যথেষ্ট, তা কর্নাটকের ইনিংসের শুরু থেকেই প্রমাণ করলেন বাংলার পেসত্রয়ী।
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই শূন্য রানে রবিকুমার সম্রাটকে প্যাভিলিয়নে পাঠান ঈশান পোড়েল। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক করুণকে আউট করেন বাংলায় পেস তারকা। তারপর রাহুল ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করলেও অন্য প্রান্তে একের পর উইকেট পড়তে থাকে।
তবে রাহুলের চেষ্টাও বেশিক্ষণ সফল হয়নি। মুকেশের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তখন ৬৫ রান ছ'উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কর্নাটক। সেখান থেকে কর্নাটক ১০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও অভিমন্যু মিঠুনের সৌজন্যে সেই গণ্ডি পার করে কর্নাটক। শেষপর্যন্ত ১২২ রানেই অলআউট হয়ে যায় কর্নাটক। ১৯০ রানে লিড পান অরুণ লালের ছেলেরা। বাংলার হয়ে পাঁচটি উইকেট নেন ঈশান। তিনটি উইকেট পান আকাশদীপ। দুটি উইকেট নেন মুকেশ।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। ক্রিজে টিকতে পারেননি অভিষেক রামন, ঈশ্বরণ ও অর্ণব নন্দী। একটা সময় ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলা। সেথান থেকে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলার ইনিংসের হাল ধরেন মনোজ তিওয়ারি। কিন্ত কিছুক্ষণ পরও তিনি আউট হয়ে যান। তারপর আর কোনও উইকেট না হারিয়েই দিনের শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সুদীপ ও অনুষ্টুপ। ৪০ রানে অপরাজিত রয়েছেন সুদীপ।
খেলার এখনও বাকি তিনদিন। ইতিমধ্যে বাংলা ২৬২ রানে এগিয়ে বাংলা। তা যদি ৪০০ রানের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন সুদীপরা, তাহলে রঞ্জি ফাইনালের দিকে বাংলা একধাপ এগিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।