রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ-সি'র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়। ম্যাচে সাত উইকেটে ছত্তিশগড়কে হারিয়েছে কর্ণাটক। অন্যদিকে অপর ম্যাচে গোয়ার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে কেরল।
ছত্তিশগড়কে হারাল কর্ণাটক, কেরলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় গোয়ার
শুভব্রত মুখার্জি: রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ-সি'র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়। ম্যাচে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন কর্ণাটকের মিডিয়াম পেসার বিজয়কুমার ভাইস্যাক। নিজের কেরিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি এদিন কর্ণাটকের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ম্যাচে সাত উইকেটে ছত্তিশগড়কে হারিয়েছে কর্ণাটক। অন্যদিকে অপর ম্যাচে গোয়ার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে কেরল।
প্রসঙ্গত এদিন অর্থাৎ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ছত্তিশগড়। ২ উইকেটে ৩৫ রান হাতে নিয়ে এদিন খেলা শুরু করে ছত্তিশগড়। প্রথম ইনিংসে শতরান করা আশুতোষ সিংকে এদিন প্রথমেই ১৮ রানে ফিরিয়ে দেন বিজয়কুমার। এই দিন আমনদীপ খারে অর্ধশতরান করেন। ময়াঙ্ক ভার্মা এদিন ৪৬ রান করেন। এই দুই ব্যাটার এদিন ব্যাট হাতে লড়াই করার চেষ্টা করেন। তবে বাকি ব্যাটাররা সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।এদিন কে গৌতম ৪১ রানে ২ উইকেট নিয়ে কর্ণাটককে ম্যাচে জয়ের জায়গায় নিয়ে যান।
কর্ণাটকের জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১২৩। এদিন তাঁরা দ্রুত হারান ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১৪ ) এবং আর সামার্থের(২৪) উইকেট। এদিন এসজে নিকিন জোস ৫৯ বলে ৪৪ রান করে কর্ণাটকের জয় নিশ্চিত করেন। তিরুবনন্তপুরমে এদিন অপর ম্যাচে বড়সড় অঘটন ঘটায় গোয়া। কেরলকে হারিয়ে দেয় গোয়া। অফস্পিনার মোহিত রেডকারের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে অসম্ভবকে সম্ভব করে গোয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৭৩ রান দিয়ে নেন ছটি উইকেট। ফলে কেরল দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে গোয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫৫ রান। ইশান গাদেকর ৬৭ রানে অপরাজিতে থেকে এবং সিদ্ধেশ ল্যাধ ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।