শুভব্রত মুখার্জি
ইউরো কাপের অন্যতম শক্ত গ্রুপ হতে চলেছে গ্রুপ 'ডি'। এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যেতে গেলে কসরত করতে হবে সবকটি দলকেই। ইউরো কাপ ২০২০ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ফলে সারা ইউরোপ জুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের বুকে এই প্রথম এত বড় মেগা টুর্নামেন্টের আসর বসেছে। ইউরোর গ্রুপ-ডি'র দলগুলির খুঁটিনাটি বিচার করা যাক।
∆ একনজরে দেখে নেব, গ্রুপ ডি-তে থাকা দলগুলি :-
১) ইংল্যান্ড
২) ক্রোয়েশিয়া
৩) স্কটল্যান্ড
৪) চেক রিপাবলিক
১) ইংল্যান্ড:- বরাবরের শক্তিশালী দল নিয়ে ইংল্যান্ড ইউরো হোক বা বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নামলেও সেভাবে সাফল্য তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ড জিতলেও তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। ফলে অনেকেই ইংল্যান্ডকে 'কাগুজে বাঘ ' বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। সম্প্রতি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ও মুখোমুখি হয়েছিল দুই ইংরেজ ক্লাব চেলসি এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ফলে এবারের ইউরো কাপে জয়ের ব্যাপারে এবার ইংল্যান্ডকে ঘিরে অনেকেই আশা দেখছেন।১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে দুবার ইউরোতে তৃতীয়স্থানে যাওয়া তাদের ইতিহাসে সেরা পারফরম্যান্স। ২০০৪ ও ২০১২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে গিয়েছিল তাদের দৌড়। এখন পর্যন্ত ইউরোতে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। যার মধ্যে ১০টি ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি ১০টি ম্যাচে হার এবং ১১টি ম্যাচে ড্র'র সম্মুখীন হয়েছে তারা। টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলা জাতীয় দলের অধিনায়ক হ্যারি কেন এবং ম্যান সিটিতে খেলা রাহিম স্টার্লিং এই আসরে তাদের সবথেকে বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেন। ৫৩ ম্যাচে ৩৪ গোল করে ফেলেছেন হ্যারি কেন।
২) ক্রোয়েশিয়া:- ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের রানার্স আপরা এবারের ইউরোর অন্যতম ফেভারিট দল। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে দু-দু'বার কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করার তাদের এখন পর্যন্ত সেরা ইউরো পারফরম্যান্স। শেষবার ২০১৬ সালে প্রি-কোয়ার্টার থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। বলা বাহুল্য এখন পর্যন্ত ইউরোতে তেমন বলার মতন পারফরমেন্স নেই ক্রোয়েশিয়া দলের।ইউরোতে এখন পর্যন্ত তাদের খেলা ১৮ ম্যাচে ৮টিতে জয় থাকলেও তারা ৫টি ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে এবং ৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।সিরি-এ'তে ইন্টার মিলানে খেলা ৩২ বছরের তারকা ইভান পেরিসিচ এখন ইন্টার মিলান থেকে লোনে রয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখে। জাতীয় দলের হয়ে ৯৯ ম্যাচে ২৭টি গোল রয়েছে পেরিসিচের। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা লুকা মদ্রিচের কথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৮ সালে একার কাঁধে কার্যত মিডফিল্ডের দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় দলকে পৌছে দিয়েছিলেন ফাইনালে। জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ১৩৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন এই তারকা ফুটবলার।
৩) স্কটল্যান্ড:- ইংল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ হলেও বিশ্ব ফুটবলে তেমন নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে পারেনি স্কটল্যান্ড। ইউরোর শেষ আসরে ২০১৬ সালে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া স্কটল্যান্ড ১৮টি ম্যাচ খেলে ৮টিতে জয়ের পাশাপাশি ৫টিতে হার ও ৫টিতে ড্রয়ের মুখ দেখেছে। লিভারপুলে খেলা লেফট ব্যাক তথা দলনায়ক অ্যান্ড্রু রবার্টসন স্কটল্যান্ডের হয়ে ৪৩টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।২৭ বছরের রবার্টসনের পাশাপাশি ২৪ বছরের স্কটিশ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে জাতীয় দলের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলেছেন।তার উপর ও নজর থাকবে বিশেষজ্ঞকূলের।
৪) চেক রিপাবলিক:- ১৯৯৬ এবং ২০০৪ সালে সেমিফাইনালিস্ট চেক রিপাবলিকের ইউরো পারফরম্যান্স তেমন বলার মত নয়। এখন পর্যন্ত ৩২টি ম্যাচ খেলে ১৩টিতে জয় এবং ১৩টিতে হারের পাশাপাশি ৬টি ম্যাচ ড্রও করেছে তারা। ৩০ বছরের মিডফিল্ডার ভ্লাদিমির দারিদা যিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৭০টি ম্যাচ এবং ২৫ বছর বয়সী চেক স্ট্রাইকার প্যাট্রিক জাতীয় দলের হয়ে এবার নজর কাড়ার অন্যতম দাবিদার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।