শিষ্যর পর গুরু, দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে প্রো লাইসেন্স পাশ করলেন সঞ্জয় সেন

তিনি মোহনবাগানের ট্রফির খরা কাটিয়েছেন। ৫ বছরের ট্রফির খরা কাটিয়ে বাগানকে আইলিগ এনে দেন সঞ্জয় সেন। শুধু আইলিগ নয়, ঠিক পরের মরশুমেই ফেডারেশন কাপেও মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। এক সময় লো গ্রেড কোচের তকমা লেখা সঞ্জয় সেন কলকাতা ফুটবলে শোরগোল ফেলে বাগানকে পরপর দুই বছর খেতাব এনে দিয়ে। বাগান সমর্থকদের কাছে নয়নের মনি হয়ে যান তিনি। শুধু সঞ্জয় সেন নয়, সহকারী কোচ হিসাবে ছিলেন শংরলাল চক্রবর্তীও।এই দুই প্রাক্তন ফুটবলারের কাছে এএফসি এ লাইসেন্স থাকলেও, প্রো লাইসেন্স ছিল না। যে কারণে আইএসএলের কোনও দলে প্রধান কোচ হতে পারেননি। অবশ্য সঞ্জয় সেন আইএসএলের দলে সহকারী কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। তবে গুরু শিষ্যের জুটি আইএসএলের মঞ্চে এখনও দেখা যায়নি। অবশ্য সেটা হতেই পারে। যদিও এমন কোনও জল্পনাই দেখা দেয়নি। তবে শংকরলাল চক্রবর্তীর পর এএফসি প্রো লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করলেন গুরু সঞ্জয় সেন। দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে প্রো লাইসেন্সের মতো কঠিন পরীক্ষা পাশ করলেন সঞ্জয়।এএফসি এবং ফিফার নিয়ম অনুযায়ী আইএসএলে প্রধান কোচের ভূমিকা পালন করতে হলে প্রয়োজন প্রো লাইসেন্সের। কিন্তু কোনও বাঙালির সেই লাইসেন্স ছিল না। প্রথমে শংকরলাল চক্রবর্তী সেই পরীক্ষায় পাশ করেন। এবার সেই তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করলেন তাঁর গুরু সঞ্জয় সেন। বর্ষীয়ান এই কোচ সবাইকে কার্যত অবাক করে দিলেন।ময়দানের পরিচিত মুখ সঞ্জয় সেন। তাঁর ফুটবল কোচিং কেরিয়ার শুরু হয় ইউনাইটেড স্পোর্টসে। তিনি দায়িত্ব সামলেছেন মহামেডাব স্পোর্টিংয়েও। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করায় বাগান কর্তারা তাঁকে ভরসা করে নিয়ে আসেন। তবে বাগান কর্তাদের হতাশ করেননি তিনি। আইলিগ এনে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এনে দিয়েছেন ফেডারেশন কাপও। যদিও একটা সময় পরপর ম্যাচ হারের ফলে সমর্থকদের কাছে ভিলেন হয়ে যান তিনি। থুতুও ছেটানো হয় আইলিগ এবং ফেডকাপ জয়ী কোচকে উদ্দেশ্য করে। এরপরই তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। এই ঘটনার পর মোহনবাগান আইএসএল খেললে সেই দলের সহকারী কোচের ভূমিকা পালন করেন সঞ্জয় সেন। এখন এটাই দেখার বিষয় প্রো লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করার করার পর আইএসএল দলে কোচিং করানোর সুযোগ পান কিনা আইলিগ জয়ী কোচ।