অবসরের পর ভারতীয়দের বিদেশি T20 লিগে খেলতে দেওয়া হবে? আলোচনায় BCCI

শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্বের প্রায় সব ক্রিকেট খেলিয়ে দেশেই এই মুহূর্তে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ চালু আছে। বেশিরভাগ ক্রিকেট খেলিয়ে দেশেই আবার আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক ক্রিকেট লিগ চালু রয়েছে। যেখানে দেশ-বিদেশের একাধিক ক্রিকেটাররা অংশ নেন। তবে বিদেশের লিগে বাকি সব দেশের ক্রিকেটাররা অংশ নিলেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ রয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। ফলে দেশের মাটিতে আইপিএল ছাড়া আর কোনও বিদেশের লিগে খেলতে দেখা যায় না ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এমনকী অবসর নেওয়ার পরেও তাদের বিদেশের লিগে খেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে রয়েছে উন্মাদনা। তাঁদেরকে খেলানোর আলাদা চাহিদাও রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। বিদেশের লিগের চাপে যাতে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্রিকেটাররা হঠাৎ-হঠাৎ অবসর নিয়ে না নেন (কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটার জেসন রয় তো ইংল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে দিয়ে আমেরিকায় খেলতে যাচ্ছেন), ঘরোয়া ক্রিকেটের মান কোনভাবে যাতে না পড়ে যায় সবটাই মাথায় রাখতে হচ্ছে তাঁদের। এমন আবহে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র মারফত জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বিসিসিআইয়ের কর্তা-ব্যক্তিরা।বর্তমানে বিসিসিআইয়ের যে নিয়ম রয়েছে তাতে করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও একজন ক্রিকেটার বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসর নিচ্ছেন, ততক্ষণ তিনি বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন না। এমনকী তিনি আইপিএল খেললেও বিদেশের লিগে খেলতে পারবেন না। ফলে তাঁকে বিদেশের লিগে খেলতে গেলেও আইপিএল থেকে অবসর নিতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ জুলাই বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিল মিটিংয়ে বসতে চলেছে। সেই মিটিংয়েই এই বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।আম্বাতি রায়াডু সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলের শিরোপা জেতার পরে অবসর নিয়েছেন। এবার তাঁকে খেলতে দেখা যাবে মেজর লিগ ক্রিকেটে। সেখানে টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে খেলবেন তিনি। ফলে বিসিসিআইয়ের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হচ্ছে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্রিকেটাররা যাতে করে হুট করে অবসর না নিয়ে নেন। তাতে করে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।পাশাপাশি আসন্ন অ্যাপেক্স কাউন্সিল মিটিংয়ে আসন্ন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে স্টেডিয়ামগুলির উন্নতি কীভাবে করা হবে, সেই বিষয়ে কথা হবে। ঘরোয়া মরশুমে বোর্ডের কাছে কোনও ব্রডকাস্টার নেই। পাশাপাশি জার্সি স্পনসর হিসেবে বাইজুস সরে দাঁড়ানোর ফলেও এই মুহূর্তে তাদের হাতে স্পনসর নেই। এই দুটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির 'প্লেয়িং কন্ডিশন' অর্থাৎ ২২ গজের চরিত্র, মাঠ এইসব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে।