সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হল উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যে দিয়ে। টালমাটাল একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় হিংসা এবং প্রতিবাদের জেরে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এমন উত্তপ্ত বাতাবরণে এবারের শীতকালীন অধিবেশন অনেক কম কাজ কার্যকর হয়েছে। এক দেশ, এক নির্বাচন বিল সামনে আসতেই ঝড় বয়ে যায় সংসদে। কারণ ইন্ডিয়া জোট এই বিলের বিরোধী। তবে তা এখন যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গিয়েছে। এটা ছাড়াও সংবিধানের ৭৫ বছরকে সামনে রেখে বিতর্ক হয়। রাজ্যসভা এবং লোকসভা দুই কক্ষেই শাসক–বিরোধীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে ব্যাপক প্রভাব পড়ে সংসদে। ফলে কাজ হয়েছে অনেক কম।
এদিকে এত কম কাজ কোনও সালে হয়নি সংসদে। এক দেশ, এক নির্বাচন ও সংবিধান যে ৭৫ বছর হল তার উপরে প্রবল বিতর্ক হয়। অধিবেশনের যে নির্দিষ্ট সময় ছিল তার অর্ধেক সময় কাজ হয়। এবার লোকসভা কাজ করেছে ৫৭ শতাংশ নির্দিষ্ট সময়ের। আর রাজ্যসভা ৪৩ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের কম কাজ আগে এতটা কখনও দেখা যায়নি। এই নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্পিকার ওম বিড়লা। তাঁর প্রথাগত সমাপ্তি ভাষণে সেটা উঠে এসেছে। বন্দে মাতারম দিয়ে সংসদের অধিবেশন শেষ হয় শুক্রবার। তবে এই তথ্যটি উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: সাইবার জালিয়াতি কপালে ভাঁজ ফেলেছে, মোবাইলে ফোন করলেই মিলছে সচেতনতা বার্তা
অন্যদিকে ২০২৩ সালের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় ৭৪ শতাংশ, রাজ্যসভায় ৮১ শতাংশ কাজ হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের। এমনকী ২০২৪ সালের শুরুতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ হয় লোকসভায় ৯৫ শতাংশ এবং রাজ্যসভায় ১০১ শতাংশ। ২০২৪ সালের বাজেট অধিবেশনেও লোকসভায় ১৩৫ শতাংশ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ হয়েছিল। আর রাজ্যসভায় ১১২ শতাংশ। সেখানে শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় ৫৭ শতাংশ এবং রাজ্যসভায় ৪৩ শতাংশ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ হয়। যা অত্যন্ত কম। স্পিকার ওম বিড়লার গলায় শোনা গিয়েছে, ‘সংসদ চত্বরের কোনও গেটে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন না তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সংসদ চত্বরের কোনও গেটে বিক্ষোভ দেখানো বা অবস্থান করা সঠিক পথ নয়। এই নিয়ম আপনাদের মানতে হবে।’