এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না আমরা। লাদাখ অচলাবস্থা নিয়ে ভারত-চিন সামরিক বৈঠকের আগেই এই বার্তা দিল বেজিংয়ের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস। তারা বলল যে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায় চিন কিন্তু ওয়াশিংটনের দ্বারা যেন পরিচালিত না হয় নয়া দিল্লি। পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে এই নিবন্ধটি প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবারের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে চিন ভারতের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চায় না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা চিনের জাতীয় নীতি বলে দাবি করে বলা হয়েছে যে বেজিং চায় না ভারতকে শত্রু হিসাবে দেখতে। কিন্তু এরপরেই এসেছে সতর্কবার্তা। নিবন্ধে বলা হচ্ছে, এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। ভারত যদি ভুল করেও চিনের জমি নেওয়ার চেষ্টা করে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। ভারত জানে যে সীমান্তে কোনও দ্বিপাক্ষিক অপারেশন চিন পিছিয়ে থাকবে না। ভারতকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলা হলে সমগ্র উপমহাদেশে তার প্রভাব পড়বে। আমেরিকা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্য দেশের সঙ্গে চিনের ঝামেলা লাগাতে চায় বলেও সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু চিন যখন মার্কিন চাপেই ন্যুব্জ হয়ে না, তখন মার্কিন সমর্থন পাওয়া অন্য কোনও শক্তি কী করতে পারবে, এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য শুক্রবার কূটনৈতিক পর্যায় প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর শনিবার চলছে চিন ও ভারতের থ্রি স্টার জেনারেলদের মধ্যে বৈঠক। সীমান্তে পূর্ব লাদাখে চার জায়গায় সম্মুখ সমরে দুই দেশের সেনা। অনেক জায়গায় চিনের সেনা প্রবেশও করে গিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন রাজনাথ সিং। কেমন ভাবে তাদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ ভারতের কাছে। কিন্তু যেভাবে হাওয়া গরম করছে চিনের সরকারি মিডিয়া, তাতে এখনই কোনও শান্তিপূর্ণ সমাধান পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে না।