'মাস্ক পরেছি তো,' মুখে লাল অন্তর্বাস ঝুলিয়ে বললেন এক বিমানযাত্রী। বিতর্কিত ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনেকেরই ধারণা সেখানকার সমাজ, মানুষ আলাদা। উন্নত দেশের বাসিন্দারা নিশ্চয় ভীষণ সচেতন ও বিজ্ঞানমনস্ক? এমনটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে বোধ হয় ভুল করবেন। কারণ সেদেশেই টিকাকরণ ও মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সবচেয়ে বেশি।
মার্কিন মুলুকে রীতিমতো বড় বড় গোষ্ঠী আছে, যারা যে কোনও ধরণের টিকাকরণের বিরোধী। তাঁদের মতে টিকা প্রদান করার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে শিশুদের দূর্বল করে দেয় স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর শিশু অসুস্থ হলে তাকে ওষুধ বিক্রি করে আয় করে ফার্মা সংস্থা।
এমনই আজগুবি মনোভাবে পূর্ণ মার্কিন সমাজের এক বৃহত্ অংশ। করোনা পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এই বিজ্ঞানবিরোধীরা।
করোনাভাইরাস হাঁচি-কাশির সময়ে ভাসমান জলকণার সঙ্গে বাহিত হয়। সেটা নাকে, মুখে প্রবেশ করলেই সংক্রমণ। এই সাধারণ জিনিসটুকু বোঝা কোনও সমস্যাই নয়। একটি সামান্য মাস্ক পরলেই এভাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করা সম্ভব।
কিন্তু এটাই মানতে নারাজ মার্কিন মুলুকের সমাজের এক বড় অংশ। এঁদের দাবি, পুরোটাই ভিত্তিহীন। এমনকি এর জন্য রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও করছে ওই মাস্কবিরোধীরা।
সম্ভবত এই মাস্ক বিরোধীদেরই কেউ বছর ফ্লোরিডার বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি। কেপ কোরালের ওই ব্যক্তি মুখে মহিলাদের লাল অন্তর্বাস পরে বিমানে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তা বিমানকর্মীদের নজরে আনেন সহযাত্রীরা। সবার সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি, জেদ শুরু করে দেন ওই ব্যক্তি।
এরপর তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয় উড়ান সংস্থা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়।