বারাণসীর জন্য সুখবর। শীঘ্রই উত্তরপ্রদেশের এই শহরে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হতে চলেছে। গঙ্গার উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে একটি নতুন দোতলা সড়ক তথা রেল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সেই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
তিনি জানিয়েছেন,কাশী ধামে গঙ্গার উপর দিয়ে যে ১৩৭ বছরের পুরোনো মালব্য সেতু রয়েছে, তারই সমান্তরালে নয়া সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ১ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এই সেতুর স্থাপত্য হবে নজরকাড়া এবং তা তৈরি করতে অত্যাধুনিক নির্মাণ শৈলী প্রয়োগ করা হবে। 'দোতলা' এই সেতুর উপরের অংশে থাকবে ছয় লেনের চওড়া রাস্তা এবং নীচের অংশে থাকবে পাশাপাশি চারটি রেল লাইন।
মন্ত্রীর দাবি, ভারতের দর্শনীয় তীর্থস্থানগুলিতে ভক্তদের যাতায়াত ক্রমশ বাড়ছে। ফলে, যানবাহনের প্রয়োজনও বাড়ছে। এই সেতু সেই চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ করবে বলে দাবি করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেই ২,৬৪২ কোটি টাকার এই প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়। সরকারের আশা, এই নয়া সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হলে তার পাশেই থাকা শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির উপর যান চলাচলের বিপুল ভার অনেকটাই লাঘব হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগামী চার বছরের মধ্যেই এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হবে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দাবি, যান চলাচলের পরিমাণে এই নয়া সেতু নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে। তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ভারতে এর তুলনায় দীর্ঘতর সেতু আরও রয়েছে। যেমন - অসমের বোগিবীল সেতু।
কিন্তু, নতুন এই সেতু একইসঙ্গে সড়ক ও রেল পথে পরিবহণ চালাবে। ফলে অন্য়ান্য সেতু দিয়ে যে পরিমাণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করানো হয়, এই সেতু সেই সংখ্য়া সহজেই ছাপিয়ে যাবে।
মন্ত্রী আরও জানান, ভৌগোলিক বিশেষত্বর জন্য এখানে গঙ্গার প্রবাহ দক্ষিণ থেকে উত্তরে। যা একটি ব্যতিক্রম। নতুন সেতুর ভিতের গভীরতা হবে নদীর পৃষ্ঠ থেকে ১২০ ফুট। ফলে এই সেতু এই স্থানে অন্তত ১৫০ বছর ধরে টিকে থাকবে!
তবে, নতুন সেতু তৈরি হলেও পুরনো মালব্য সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হবে না। কারণ, সম্প্রতি শতাব্দী প্রাচীন এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এই সেতুটি বহু পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও এখনও অত্যন্ত শক্তপোক্ত এবং ব্যবহারের উপযোগী রয়েছে।