ছত্তিশগড়ে মাওদমন অভিযানে আবারও সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ, ২০২৫) আরও তিন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ওই তিন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর জেলার সীমানা সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এদিনের এই এনকাউন্টারে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে মাওবাদীদের ব্যবহার করা নানা ধরনের সামগ্রী। তবে, এদিন যে তিনজন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানিয়েছেন, এদিন যৌথবাহিনী ওই সীমানাবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেই সময়েই মাওবাদীদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতেই তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে, এই খবর গোপন সূত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে এসে পৌঁছেছিল। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মাওদমন অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযান শুরু করা হয়েছিল সোমবার (২৪ মার্চ, ২০২৫)। মঙ্গলবারও সেই অভিযান অব্যাহত ছিল। তখনই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই যৌথবাহিনীতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর সদস্যরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার 'সকাল ৮টা নাগাদ এই গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিন মাওবাদীর দেহ খুঁজে পাই এবং সেগুলি উদ্ধার করি। এখনও ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। যেখানে গুলির লড়াই হয়েছিল, সেই ঘটনাস্থলকে কেন্দ্র করে আশপাশের সমস্ত এলাকায় চিরুণীতল্লাশি চালানো হচ্ছে।'
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যেহেতু অভিযান এখনও শেষ হয়নি, তাই পরবর্তীতে এই ঘটনার আরও তথ্য সামনে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূলে নয়া আত্মসমর্পণ নীতি আনছে ছত্তিশগড় সরকার, থাকছে বহু সুবিধা
আরও পড়ুন: মাওবাদীদের পেতে রাখা IED বিস্ফোরণে প্রাণ গেল বাংলার এক জওয়ানের, জখম আরও এক
আরও পড়ুন: ‘রুথলেস সরকার…’, ২২ মাওবাদী খতম হতেই হুংকার শাহের, কতদিন পরে মুছে যাবে নকশালরা?
আরও পড়ুন: জঙ্গলে-জঙ্গলে এনকাউন্টার! সুকমায় খতম ১০ মাওবাদী, এখনও চলছে ‘সার্চ’ অভিযান