আদালতে সাক্ষ্যদানের জন্য যোগ্য বিবেচিত হতে সাক্ষীর বয়সের কি কোনও নিম্নসীমা রয়েছে? তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে এসেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, একটি শিশুর সাক্ষ্য অন্যান্য যে কোনও সাক্ষীর মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ, যদি শিশুটি সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্য হয়। একটি খুনের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এই মামলায় এক শিশুর সাক্ষ্যকে গুরুত্ব দিয়ে স্ত্রীকে খুনে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন - চাকরি বিক্রির ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চার্জশিটে জানাল CBI
পড়তে থাকুন - চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। প্রথমে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছিল। পরে মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই এমন পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট অভিযুক্তের নাবালিকা মেয়ের জবানবন্দি খারিজ করে দিয়েছিল।
শীর্ষ আদালত বলেছে, যে সাক্ষ্য আইনে সাক্ষীর জন্য কোনও ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে শিশু সাক্ষীর সাক্ষ্য সরাসরি খারিজ করা যাবে না। তবে শিশু সাক্ষীর সাক্ষ্য মূল্যায়ন করার সময় আদালতকে সতর্ক থাকতে হবে। ওই শিশু কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও শিশুর সাক্ষ্য সামান্যতম অসঙ্গতির কারণে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি আদালত শিশুর সাক্ষ্য সাবধানে যাচাইয়ের পর দেখে যে তাকে প্রভাবিত করা হয়নি তাহলে অভিযুক্তের অপরাধ বা নির্দোষ প্রমাণে এই ধরনের সাক্ষীর উপর নির্ভর করতে হবে। এই বলে আদালত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে।
আরও পড়ুন - 'বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি ২ দিন দিলেন ফিরহাদ সোহরাবর্দি হাকিম'
উল্লেখ্য, অভিযোগ অনুযায়ী, শিশুর মাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল শিশুর বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, ৭ বছরের ওই মেয়েটির সামনেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মেয়েটি পরে আদালতে গোপন জবানবন্দিতে বাবার বিরুদ্ধে খুনের কথা জানিয়েছিল। তবে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের কাছে শিশুর বয়ান গ্রহণযোগ্য হয়নি। ফলে রাজ্যের উচ্চ আদালত শিশুর বয়ানকে মান্যতা দেয়নি এবং অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে।