'খাইকে পান, বানারস ওয়ালা'! এবার খোদ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভিতরেই পানমশলা খেয়ে থুতু ফেলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন এক বিধায়ক। আর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার কক্ষে। যা কিনা বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এবং সভা শেষ হতেই এই বিষয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার সতীশ মহান। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে শৃঙ্খলাহীনতা বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তবে বিধায়কের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন -Flipkart: কর্মী ছাঁটাই! সহযোগী সংস্থা এএনএস কমার্স বন্ধ করল ফ্লিপকার্ট
বিধানসভার স্পিকার সতীশ মহান বলেছেন, 'আমি ভিডিয়োয় দেখেছি যে কে এটা করেছেন। কিন্তু আমি কোনও সদস্যের নাম বলব না, তবে এই ধরনের আচরণ বিধানসভায় মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।' সুতরাং বিধায়কের কাণ্ডে নিজেই সরব হয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। কিন্তু নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি কি ধামাচাপা দিতে চাইলেন সতীশ মোহন? উঠেছে সেই প্রশ্ন।
এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার অত্যন্ত গম্ভীর সুরে বলেন, 'আজ সকালে আমায় জানানো হল যে আমাদের বিধানসভার একজন সম্মানিত সদস্য পানমশলা খেয়ে থুতু ফেলেছেন। আমি এসে ওটা পরিষ্কার করে দিলাম। কে এটা করেছে, তার ভিডিয়ো আমি দেখেছি, কিন্তু আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। কারণ বিধানসভা কোনও এক ব্যক্তির নয়। বরং ৪০৩ জন বিধায়ক এবং উত্তরপ্রদেশের ২৫ কোটি মানুষের। এটি পরিষ্কার এবং মর্যাদাপূর্ণ রাখা সকল সদস্যের দায়িত্ব।'
তিনি আরও স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'যে ব্যক্তি এই কাজটি করেছেন, তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে যদি সে নিজেই এগিয়ে এসে তাঁর ভুল স্বীকার করে, তাহলে ঠিক আছে, নাহলে আমায় তাঁকে ডাকতে হবে।' স্পিকার সদস্যদের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, 'যদি কোনও বিধায়ক তাঁর সহকর্মীকে এমন কাজ করতে দেখেন, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে সেই কাজটা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এই কক্ষ আমাদের মর্যাদা এবং উত্তরপ্রদেশের জনগণের বিশ্বাসের কেন্দ্র। এটিকে পরিষ্কার এবং সম্মানজনক রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।'
আরও পড়ুন -Flipkart: কর্মী ছাঁটাই! সহযোগী সংস্থা এএনএস কমার্স বন্ধ করল ফ্লিপকার্ট
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশকুমার খান্না ২০২৫-২৬ সালের রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, এই বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই বাজেট ডাবল-ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়ন প্রতিফলিত করছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি আগে দেশের মধ্যে ষষ্ঠ-সপ্তম স্থানে ছিল, কিন্তু এখন এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।