বিশেষভাবে সক্ষমদের চাকরি প্রার্থীদের জন্যও নিয়ম বিভিন্ন সংরক্ষিত ক্যাটাগরির মতো সহজ করা যায় না? তাঁদেরও জন্যও তো প্রবেশিকা পরীক্ষায় ক্ষেত্রে আলাদা করে পদ সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার ঠিক তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রার্থীদের মতো বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও চাকরির নিয়ম শিথিল করার আইনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি চাকরিতে অংশ নেওয়া বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের স্বস্তি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও, যে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা, এসসি এসটি সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের মতো ন্যূনতম নম্বর পেয়ে যাবেন, তাঁদের ইন্টারভিউ উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
- মামলার সূত্রপাত এখান থেকে
মধ্যপ্রদেশে সিভিল জজ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে অনেক যোগ্য প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন এবং পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই অনেক প্রার্থীর মধ্যে, একজন দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থীও ছিলেন। তাঁর মা ভারতের প্রধান বিচারপতি সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূরের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যাতে তিনি তথ্য দিয়েছিলেন নিজের ছেলের সম্পর্কে। ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশ সিভিল বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত হয়েছিলেন কিন্তু তাঁর মার্কস নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম নম্বরের সীমার নীচে ছিল বলে তাঁর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি৷ আর এই বিষয়টিই ভালো চোখে দেখেননি তিনি।
তারপর কী হল
দৃষ্টিশক্তিহীন ওই প্রার্থীর লেখা চিঠিটি ভারতের প্রধান বিচারপতি একটি পিটিশন আকারে আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন এবং বিষয়টি শুনানির সময় বিচারপতি পিএস নরসিমা ও বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চ একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে বলেছিল যে যদি দৃষ্টিহীন প্রার্থী যদি এসসি এবং এসসি প্রার্থীদের মতো একই নম্বর আনতে পারেন, তবে নিয়োগ পরীক্ষায় এসসি/এসটি প্রার্থীদের মতো তাঁরাও ইন্টারভিউ দিতে পারবেন, এসসি/এসটি প্রার্থীদের সমান মর্যাদা দেওয়া হবে।
শীর্ষ আদালত এর আগে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিল যে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে।পরবর্তীকালে, বিষয়টি তালিকাভুক্ত করার পর, মামলার অ্যামিকাস কিউরি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট গৌরব আগরওয়াল বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে আদালত উপরের আদেশটি পাস করার পরে, ৩১ জন প্রার্থীকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, কোনও প্রার্থীই ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম নম্বরগুলি পাননি। অ্যামিকাস কিউরি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাট-অফ না থাকার অসুবিধা প্রকাশ করেছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 'নারীদের জন্য সবসময় কিছু বিশেষ সুবিধা থাকতে পারে। খেলাধুলার জন্য কিছু কোটা থাকতে পারে। তাহলে কী অসুবিধা এই বিভাগের জন্য।' এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে যে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে, এই বিভাগগুলির জন্য পৃথক সংরক্ষণের বিধান করার বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করতে হবে। উল্লেখ্য, আগামী জুলাই মাসে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।