হয় বন্দিদের ছাড়ো, নয় তো মরো। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে শেষ বারের মতো সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দি ইজরায়েলিদের দ্রুত ছাড়া না হলে হামাসের সকলকে মরতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। হামাসের নেতাদের দ্রুত গাজা ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন গাজার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের উদ্দেশে লেখেন, 'এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও। পরে নয়, এখনই। যাদের তোমরা মেরেছ, সেই সব বন্দির দেহও ফেরত দাও। কেবল অসুস্থ লোকেরাই দেহ আটকে রাখে। আর তোমরা তেমনই মানুষ।' একই সঙ্গে ট্রাম্প লেখেন, 'আমি যা বললাম, তা যদি করা না হয়, তবে হামাসের কোনও সদস্য নিরাপদে থাকবে না।'গত বুধবারই গাজা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি এ-ও জানান, গাজা ভূখণ্ড থেকে প্যালেস্টাইনিদের স্থায়ী ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন করার কথা ভাবা হচ্ছে। অনেকের মতে, গাজায় বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করতে পারে আমেরিকা। (আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার মার্কিন মুলুকে, ঘনাচ্ছে রহস্য)
মার্কিন প্রশাসনের রীতি হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সব সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে সরাসরি তারা কথা বলে না। কিন্তু হামাসের ক্ষেত্রে সেই রীতি এবার বজায় রাখেনি ট্রাম্পব প্রশাসন। খুব গোপনে তারা কথা বলেছে হামাস নেতাদের সঙ্গে। তারপরেই হামাস নেতাদের উদ্দেশে সরাসরি হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। (আরও পড়ুন: লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর খলিস্তানির হামলা, ছেঁড়া হল ভারতের পতাকা, দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে কৃষকের বাড়ির চাল ফুঁড়ে পড়ল অস্বাভিক ঘন বস্তু, রহস্যভেদে শুরু গবেষণা
প্রসঙ্গত, এর আগেও হামাসকে দ্রুত বন্দি প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলেছিলেন, কথার খেলাপ হলে ‘নরক নেমে আসবে’। তবে ট্রাম্পের এবারের হুঁশিয়ারিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প নিজেই এটিকে ‘শেষ সতর্কতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তাছাড়া একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, দোহায় হামাসের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকে বসেছেন হামাস নেতৃত্ব। ১৯৯৭ সাল থেকে হামাসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’-এর তকমা দেওয়া আমেরিকা কেন প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে আলোচনায় বসল, তা নিয়ে যেমন কৌতূহল তৈরি হয়েছে, তেমনই এই সময়েই ট্রাম্প হামাসকে কেন মেরে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।